টুঙ্গিপাড়ায় কাদীয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের ঘোষনার দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ

Dainik Shatabrasa

হযরত মুহাম্মাদ সা. কে শেষ নবী অস্বীকার কারী কাদিয়ানী সম্প্রদায় কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে আজ ১৯ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উপজেলার খালেক বাজারে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোজাহেদে আজম আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরী ছদর সাহেব হুজুর রহ.-এর পৌত্র মুফতি উসামা আমীন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতি উসামা আমীন বলেন, মহানবী সা. কে যাঁরা শেষ নবী মানেনা তাঁরা কাফের। মুসমলমান হিসেবে বসবাস করার অধিকার তাদের নাই। বিশে^র বিভিন্ন রাষ্ট্রে কাদিয়ানীদেও অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে কিন্তু বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁদের ব্যাপারে স্পষ্ট কোন ঘোষণা না থাকায় তাঁরা মুসলমানের পরিচয় দিয়ে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে ইমান হারা করছে। আজকের সমাবেশ থেকে আমরা সরকারের কাছে স্পষ্ট দাবি জানাচ্ছি অনতিবিলম্বে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করে সংসদে আইন পাশ করতে হবে।

সমাবেশে মুফতি উসামা আমীন বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশে সকল ধর্মের মানুষ শন্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে। অন্যান্য ধর্মের লোকেরা যে ভাবে রাষ্ট্রের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে কাদিয়ানীরাও অন্যধর্মের নাগরিক হিসেবে-অমুসলিম হিসেব বসবাস করবে রাষ্ট্রকে এ ভাবে সিদ্ধন্ত নিতে হবে।

তাদের মুসলমান হিসেবে বসবাস করতে দেওয়ার কোন সুযোগ নাই। খাদেমুল ইসলাম ইমাম পরিষদ টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কতৃক আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা শামছুল হক বলেন, দেশের ইমানদার ধর্মপ্রাণ মুসলমান দীর্ধদিন ধরে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে।

কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে উদাসীন। যার সুযোগে কাদিয়ানী সম্প্রদায় দেশের মধ্যে মানুষদের ইমান হারা করছে। সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, কাদিয়ানী সম্প্রদায় টুঙ্গিপাড়ার মতো তীর্থ ভূমিতেও তাদের কার্যক্রম পরিচালনার পায়তারা করছে। যার কারনে ইমানাদর মুসলামানদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অনতিবিলম্বে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে টুঙ্গিপাড়া থেকে তাদের বেরকরে না দিলে যে কোন পরিস্থিতির দায়ভার সরকার এবং প্রশাষন কেই বহন করতে হবে। মাওলানা আতাউর রহমান ও মুফতি মাকসূদুল হকের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন। গওহরডাঙ্গা মাদরাসার সিনিয়ার মুহাদ্দিস মাওলানা ফরিদ আহমাদ, মুফতি হুজাইফা আমীন, মাওলানা হায়াত আলী, মুফতি খালেদ সাইফুল্লাহ, মুফতি মুহাম্মাদ তাসনীম, মাওলানা ফখরুল আলম, মাওলানা নাজির বিন হাশেম, প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *