নাজিরপুরে কমিউনিটি ক্লিনিকের বেহাল দশা- স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ
নাজিরপুর থেকে, মোঃ মশিউর রহমান
পিরোজপুরের নাজিরপুরে শাঁখারীকাঠী ইউনিয়নের বুড়িখালী কমিউনিটি ক্লিনিকের বেহাল দশা স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ২২ জুন মঙ্গলবার ১২ টার দিকেও কমিউনিটি ক্লিনিকে ঝুলছে তালা।
দেখা যায় ক্লিনিকের সামনে দাড়িয়ে ফরিদা আক্তার, মিসলেহা ও ঠান্ডামিয়া ফকিরদের স্বাস্থ্য বিষায়ক পরামর্শ দিচ্ছেন পরিবার কল্যান সহকারি খাদিজা আক্তার। তার নিকট ক্লিনিক বন্ধ থাকার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন আজ আমার ডিউটি আছে আমি যথা সময়েই এসেছি।
তার অন্যান্য সহকর্মীরা কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোপাইটর (ঈঐঈচ) অসীম দাদা কোথায় আছেন জানি না তবে আল- মামুন এবং শাহীনুর আক্তার (স্বাস্থ্য সহকারী) তারা নাজিরপুরে ট্রেনিং এ আছেন।
এসময় ফরিদা আক্তার বলেন আমি তো আইছিলাম একটু ঔসাদ নেতে হেয়া কি আর করমু আপারে কইলাম তার ব্যাগ থেকে আমারে হেয়ার নিজের কেনা ঔষাদ থেকে এক পাতা দেছে। আমি তো বইয়া থাইক্কা কয়ডা ঔষাদ পাইলাম, সকালে দুইজন আইছিল কতসোমায় বইয়া চইলগা গেছে, আমার কি যে খারাপ লাগঝে স্যার আম্নেগো বুজাইতে পারমু না । অসীম স্যার আইলে ৫ টাহা কইরগা রাহে তা আবার ৫টা ঔষদ দেয়, তবে আগের শাহিনুর আপাই ভালো ছিল
স্থানীয় রাসেল সিদার জানান আমার এই তিন দিন যাবৎ জ্বর আমি তিন দিন ক্লিনিকে আসি একদিন ও খোলা পাই না, অসীম স্যার সে মাঝে মাঝে ১১/১২ দিকে এসে পাশের চায়ের দোকানে আড্ডা দেয় ১ টা বাজলেই চলে যায় তার খেয়াল খুমি মত আসে মনে হয় মামার বাড়ি আসে। তার কাছে এসে ঔষধ চাইলে সে এমন ব্যবহার করে মহে হয় যেন তার নিজের টাকার কেন ঔষধ।
স্থানীয় ফাতেমা, আবু সুফিয়ান,জাকির হোসেন সহ আরো নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন শেখ হাসিনা সরকার আমাদের জন্য এত সুযোগ সুবিধা দেন কিন্তু তা তো আমরা ভোগ করতে পারি না। এ অসীম দাদা তার খেয়াল খুশিমত চলে। ১১/১২ টায় অফিসে আসে ১ টায় চলে যায়, ঠিক মত আমাদের সেবা দেয় না, আসলে খুবই দুঃখজনক ।
এ বিষয়ে অসীম কুমারের সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাই তিনি কোথায় সে বলে আমি ডিউটিতে। যখন বলি আমরা আপনার ডিউটিস্থলে তখন সে বলে দেখেন আমি নির্বাচনী ডিউটিতে ছিলাম তো তাই আমি অসুস্থ বলে ডিউটিতে আসিনি বলে ফোন কেটে দেয়।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবাবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ফজলে বারী জানান আমি তার বিরুদ্ধে তিনবার মুঠোফোনে অভিযোগ পেলে তাকে কর্মস্থলে না পেয়ে প্রসাশনিক ব্যবস্থ্যা নিয়েছিলাম তবে এবারও লিখিত কোন অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।