পিরোজপুরে অসহায় হিন্দু পরিবারের প্রতি সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ভূমিদস্যুদের হামলা

 পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার গাওখালি গ্রামের সমীরন হালদার,স্বপন হালদার উভয়ের পিতা- মৃত লক্ষীকান্ত হালদার,ভূপতি মিস্ত্রী, পিতা- মৃত হরিচরণ মিস্ত্রী,রিপন মিস্ত্রী,পিতা- মৃত কৃষ্ণকান্ত মিস্ত্রী,কালীপদ হালদার,পিতা- মৃত দূর্গাচরণ হালদার, তাদের নিরস্কুশ মালিকানায় ভোগ দখলীয় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধী পক্ষ নাজিরপুর সহকারি জজ আদালত, দেওয়ানী মোকদ্দমা নং- ৮১/১৯৯০ দায়ের করে।যা সাক্ষী প্রমানে খারিজ হয়। তারপর কৈশোর চন্দ্র হালদার পিরোজপুর জেলা জজ আদালতে, ২১৭/১৯৯২ নং দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়ের করেন এবং ২.৭৪ একর সম্পত্তির রায় ও ডিক্রী অর্জন করেন। সমীরন হালদার সহকারী জজ নাজিরপুর আদালতে,১২৭/২০১৩ নং দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়ের করেন এবং তিনি সেখানে রায় ও ডিক্রী পান। তারপর বিরোধী পক্ষ হাই কোর্টে আপীল করেন আপীল নং- ২১৭/১৯৯২ মোকদ্দমা দায়ের করেন।যাতে বিগত ২৪/১০/১৯৯২ ইং তারিখ নিম্ম আদালতে প্রাপ্ত রায় ও ডিক্রী বহাল থাকে। তারপর বিরোধী পক্ষ মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে Leave To Appeal No.438/2010 মোকদ্দমা দায়ের করেন।যা বিগত ২৭/১০/২০১০ ইং তারিখ মাননীয় হাইকোর্ট আদেশ বহাল রাখেন। তারপর বিগত ২৮/২/২০১৯ ইং তারিখ পিরোজপুর জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিষ্ট্রেটের আদেশে সহকারী জজ নাজিরপুর তাদেরকে দখল বুঝিয়ে দেয়। কিন্তু ভূমিদস্যুরা তাদের সুখ শান্তিতে বসবাস করতে দিচ্ছেন না। এলাকার ভূমিদস্যু শাহাবুদ্দিন খাঁ, শাজাহান খাঁ, উভয়ের পিতা- মৃত ইয়াকুব খাঁ, বিশ্বনাথ মন্ডল, পিতা- মৃত সর্নকুমার মন্ডল, জাহিদ খাঁ, পিতা- শাহাবুদ্দিন খাঁ, সাহিন খাঁ, মিজান খাঁ, উভয়ের পিতা- শাজাহান খাঁ, প্রবির হালদার (রবি), পিতা- মৃত প্রফুল্ল হালদার, তপন হালদার (বুদ্ধি), পিতা- মৃত ব্রজেন্দ্র নাথ হালদার, ফারুক খাঁ, পিতা- জামাল খাঁ, রমেন মিস্ত্রী, পিতা- রাজেন্দ্রনাথ মিস্ত্রী, এনাদের সকলের ঠিকানা, ডাকঘর- গাওখালি, উপজেলা- নাজিরপুর, জেলা – পিরোজপুর। উল্লেখিত ব্যক্তিগণ জুলুমবাজ, অত্যাচারী, সন্ত্রাসী, প্রকৃতির চাঁদাবাজ মাঝে মাঝে তাদের বসতবাড়িতে আক্রমণ করে, বাড়িঘর ভাঙচুর করে, গরু-বাছুর নিয়ে যায়, জীবননাশের হুমকি দেয়, জমিজমা নিয়ে ভারত চলে যেতে বলে, বিগত ১৫/১২/২০২০ ইং তারিখে ভুক্তভোগীদের বাড়িতে এসে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। তাদের ছেলেমেয়েরা স্কুল কলেজে যেতে পারে না অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা চায় এবং মারধর করে। সন্ত্রাসী ভূমিদস্যু বাহিনী অন্যের সম্পদ লুট করে,মানুষ অপহরণ করে বিভিন্নভাবে মানুষের নিকট থেকে অন্যায় ভাবে সম্পদ ও অর্থ কেরে নেয়। স্থানীয় থানা পুলিশের নিকট অভিযোগ দিলে তারা কোনো প্রতিকার করতে পারেনা। সমীরন হালদার এই অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর একখানা আবেদন করেছেন। এখন প্রধানমন্ত্রীর তাদেরকে ন্যায্য অধিকার দিয়ে তাদের বসতবাড়িতে শান্তিতে বসবাস করতে পারেন তার বিহিত ব্যবস্থা করে দিবেন বলে আশায় আছেন।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *