অবহেলিত ৭নং ওয়ার্ডের সার্বিক উন্নয়ন করতে চান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম সমাদ্দারের সুযোগ্য সন্তান কাউন্সিলরপ্রার্থী শফিকুর রহমান শুক্তি

সকলকে সাথে নিয়ে অবহেলিত ৭নং ওয়ার্ডের সার্বিক উন্নয়ন করতে চান প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম সমাদ্দারের সুযোগ্য সন্তান কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শফিকুর রহমান শুক্তি।

আসন্ন গোপালগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে নবগঠিত ৭নং (সাবেক ৫ নং) ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শফিকুর রহমান শুক্তি তার ওয়ার্ডের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, আমি নির্বাচিত হলে পৌরসভার একটি গুরুত্বপূর্ণ ৭নং ওয়ার্ডকে নানা সমস্যার সমাধান করবো। এই ওয়ার্ডটি বিগত দিনের পৌরসভার মানুষের কাঙ্খিত সেবা পান নাই। নানাবিধ সমস্যায় এই ওয়ার্ডটির ভোটাররা তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য কাউন্সিলরকে খুঁজে পান নি। আমি আমার ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ায় ভোটাররা আমার কাছে সব সময় বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য আসার সুযোগ থাকবে। এছাড়া বিগত দিনে আমি সাধ্যমতো সকলের পাশে থেকেছি, ভবিষ্যতেও থাকবো। তাই আমার শক্তি ৭নং ওয়ার্ডের ভোটাররা এবারে আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন।

শফিকুর রহমান শুক্তি
মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহচর এ্যাড. আবুল হাশেম সমাদ্দারের ছোট সন্তান। শফিকুর রহমান শুক্তি বলেন, আমি গর্বিত আবুল হাসেম সমাদ্দারের সন্তান হতে পেরে। তার দেশপ্রেম, সততা আর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারনে তিনি ১৯৬৪ সালে বঙ্গবন্ধু’র হাত ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু করেন। ৬ দফা আন্দোলন সহ ৬৮, ৬৯ ও ‘৭০ -এর গণ- আন্দোলনে তিনি অগ্রভাগে থেকে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেন। এ কারণে তিনি গোপালগঞ্জে আপামর মানুষের কাছে প্রিয় ভাজন হয়ে ওঠেন। পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী তাকে একাধিকবার গ্রেফতার করে। ‘৭১ -এ মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি পর্বে তিনি গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত সংগ্রাম পরিষদের সদস্য ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনি কোলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘জয় বাংলা’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। জাতীয় চার নেতার সঙ্গে তিনি একই মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে ছিলেন। ১৯৭২ সালে গোপালগঞ্জ পৌরসভা গঠনের পর তিনিই গোপালগঞ্জ পৌরসভার প্রথম মনোনীত চেয়ারম্যান হন। গোপালগঞ্জ মহকুমা রিলিফ কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। গোপালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ’৭৫ -এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার খবর শুনে শোক সইতে না পেরে তিনি ক্ষাণিকটা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন।

প্রয়াত আবুল হাসেম সমাদ্দারের পরিবার সাকলেই রাজনীতির সাথে যুক্ত। শফিকুর রহমান শুক্তি তার ছোট ছেলে। দুইবার গোপালগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে আল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যায়। ব্যক্তি জীবনে শুক্তিও তার পিতার উত্তরসূরী। গোপালগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।  একজন সমাজ সেবক, তরুন, সৎ শিক্ষিত, যোগ্য এই মানুষটি আবারও নবগঠিত ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী। তার বড় বোন গোপালগঞ্জ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সমাজসেবী নাসিমা আক্তার রুবেল।

গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ইলিয়াস হক বলেন, আমি তার ভাই হিসাবে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে ৭নং ওয়ার্ডের ভোটারদের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি এবারে আপনাদের ভোট তাকে দিয়ে জয়যুক্ত করুন।
আপনারা বারে বারে দেখেছেন এই ওয়ার্ডটি মানুষ কোন জনপ্রতিনিধি দের কাছে পায় না। মানুষের বিপদে কোন কাউন্সিলর পাওয়া যায় না। তাই এবার আমাদের সুযোগ এসেছে একজন যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করার। আপনাদের দোয়া, আর্শীবাদ নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আবুল হাসেম সমাদ্দারের পরিবারে প্রতি সন্মান এবং ভালোবাসা রেখে তাকে ভোট দিবেন। আমি আপনাদের মতোই দায়বদ্ধ থাকবো। একজন দেশ প্রেমিক আদর্শবান মানুষের সন্তানের জন্য এই দাবি আপনাদের কাছে রইলো। “জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু”।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *