লাখো ভক্তের আগমনের মধ্যদিয়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দিতে শেষ হয়েছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ স্নানোৎসব ও বারুণী মেলা। রোববার (১৯ মার্চ) ভোর থেকে এ স্নানোৎসব শুরু হয়।
যা পূণ্যস্নানের মধ্যদিয়ে সোমবার বিকালে শেষ হয়। তবে বারুণীমেলা আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে। এ উৎসবকে সফলভাবে সম্পন্ন করতে ঠাকুর বাড়ি এলাকায় বসানো হয়েছে সুউচ্চ পর্যবেক্ষণ চৌকি ও সিসি ক্যামেরা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি মতুয়া সংঘের তিন শতাধিক স্বেচ্ছাসেবককর্মী দায়িত্ব পালন করে। জানা গেছে, শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ফাল্গুন মাসের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে প্রতি বছর ওড়াকান্দিতে এ স্নানোৎসব ও বারুণী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এবার শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১২ তম আবির্ভাবোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উৎসবকে ঘিরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তর প্রদেশ, নেপাল, ভূটান, শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ১৫ লাখ মতুয়া ভক্তের আগমন ঘটেছে ওড়াকান্দি ঠাকুর বাড়িতে।
স্নান উৎসবকে ঘিরে ঠাকুর বাড়ির পাশ ঘেঁষে ৬০ একর জায়গাজুড়ে বসেছে লোকজ মেলা। মেলায় কাঠ, বাঁশ, বেত, মাটির তৈরী জিনিসপত্র ও খেলনা সামগ্রী, তালপাখা, চানাচুর, মিষ্টি দোকান, হোটেল-রেস্তোরার দোকান বসেছে। গোপালগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্নানোৎসবে আগত পূর্ণার্থীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিতে মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়।
রোগীদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, ‘স্নানোৎসবকে ঘিরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুরো ঠাকুরবাড়ি ও তার আশপাশ এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়।