রায়পুরাশ ১টি বসত ঘরসহ ১২টি দোকান ভস্মীভূত, কেন্দ্রীয় আ.লীগনেতা কাউছারের সহযোগিতার আশ্বাস
নরসিংদীর জেলার রায়পুরা উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নস্থ দৌলতকান্দি জামালের বাড়ির মোড়ে আগুনে পুড়ে যাওয়া হোসেন মিয়ার মার্কেট পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এডভোকেট এ বি এম রিয়াজুল কবির কাউছার।
শনিবার (২ই জানুয়ারী) দুপুরে পুড়ে যাওয়া এ মার্কেট পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় তিনি অনাকাঙ্ক্ষিত অগ্নিকান্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থদেরকে সমবেদনা জানান। পরে তিনি ক্ষতিগ্রস্থদেরকে সরকারি তহবিল থেকে ক্ষতিপুরণ পাবার ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এ বি এম রিয়াজুল কবির কাউছার এসময় আরও বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার সাধারন মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবে- এদেশের প্রত্যেকটা মানুষ তার নাগরিক সুবিধা পাবে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন রায়পুরা উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. ইমান উদ্দিন ভূইয়া, সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক একেএম মহিউদ্দিন, ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মহসিন খন্দকার, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম করিম, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব ছানাউল্লাহ ভূইয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দীপু মাহমুদ, সহসভাপতি এনায়েত উল্লাহ ভূইয়া, মহেশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. আমজাদ হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম কাবিল, আওয়ামী লীগ নেতা মো. মিষ্টার হোসেন জিন্নাহ, মো. মজিবর রহমান, মো. আতর মিয়া, মহেশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠিক সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম মোল্লাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অনেক নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য, গত ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টার পরপর রায়পুরা উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের দৌলতকান্দি জামালের বাড়ির মোড়ে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় হোসেন মিয়ার মার্কেটের ১২টি দোকান ও একটি বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ভুক্তভোগীরা জানান, একটি দোকানে শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের উৎপত্তি হয়। পরে আগুনের লেলিহান ছড়িয়ে পড়লে দমকল বাহিনী আসতে আসতে একে একে ১২টি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা আগুন লাগার পর অনেক চেষ্ঠা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়ে পরে ৯৯৯ এর মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। খবর পেয়ে রায়পুরা ফায়ার সার্ভিসের ১টি ইউনিট ও ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৫০ মিনিট পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। ততক্ষনে ভয়াবহ আগুনে সেলুন, ফার্ণিচার, হার্ডওয়ার শপ, ওয়ার্কশপ, ইলেকট্রনিক দোকান, মোবাইলের দোকান, স্বর্ণের দোকান, চাউল ও গ্যাসের দোকানসহ সর্বমোট ১২টি দোকান ও ১টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে আনুমানিক প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলেও জানান তিনি। এমতাবস্থায় তিনি ভুক্তভোগী দোকানদার ও পরিবারটির সহযোগীতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। একই সাথে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও এলাকার বিত্তবানদেরকে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এ বি এম রিয়াজুল কবির কাউছার।