ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সেবনের জন্য ইয়াবা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন সে

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সেবনের জন্য ইয়াবা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন সে। নূরানী মুয়াল্লিম হিসেবে প্রশিক্ষণ নেবার জন্য ভর্তিও হয়েছেন যাত্রাবাড়ি কাজলারপাড় প্রধান নূরানী মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। প্রতিষ্ঠান ছুটি হওয়ায় এক আত্মীয় বাড়িতে গিয়ে সংগ্রহ করেন ইয়াবা। সেবনের জন্য সেগুলো নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ধরা পড়েন ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা শেষে আজ শুক্রবার আদালতে পাঠায় পুলিশ। মো. আল আমিনের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার দূর্গাপুর উপজেলার রামনগর কাকজোড় গ্রামে। ওই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে তিনি।

দূর্গাপুরের জারিয়া চরেরভিটা মসজিদের ইমাম হিসেবে গত দেড় বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছিলেন। গত ২৮ মার্চ নূরানী মুয়াল্লিম হিসেবে প্রশিক্ষণ নিতে ভর্তি হন যাত্রাবাড়ি কাজলারপাড় প্রধান নূরানী মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। কিন্তু সরকারিভাবে মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করে দেওয়ার পর ওই প্রতিষ্ঠানটিও বন্ধ করা হয়। ছুটি পেয়ে আল আমিন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের টাঙ্গনগাতি গ্রামের ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যান। ফুফাতো ভাই ইমনের মাধ্যমে সংগ্রহ করেন কিছু ইয়াবা।

সেগুলো নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলে খবর পায় পুলিশ। হারুয়া বাসস্টেশন এলাকায় আল আমিনকে টার্গেট করে তল্লাশি শুরু করেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার এস আই কাওসার আহমেদ জিহাদ। উদ্ধার করা হয় ১১ পিস ইয়াবা। পরে তার বিরুদ্ধে এসআই জিহাদ বাদী হয়ে থানায় মাদক আইনে একটি মামলা করেন। আজ শুক্রবার ইমাম আল আমিনকে ময়মনসিংহ আদালতে সোপর্দ করা হয়। পুলিশের দাবি, আল আমিনের স্বজনরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত।

তার ফুফাতো ভাই ইমনকে ধরতে পুলিশের তৎপরতা চলছে। আল আমিনের ফুফা লাল মিয়াও মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। পুলিশ হেফাজতে থাকা মো. আল আমিন বলেন, মাদ্রাসা ছুটি হওয়ায় ফুফাতো ভাইয়ের কাছ থেকে ইয়াবাগুলো নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন। বাড়িতে নিয়ে সেগুলো সেবন করতেন তিনি। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. আবদুল কাদের মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত আল আমিন। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছ।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *