মোল্লাহাটে সেটেলমেন্ট অফিসের রেকর্ড দুর্নীতি নিয়ে দু’পক্ষের উত্তেজনা

মোল্লাহাটে সেটেলমেন্ট অফিসের রেকর্ড দুর্নীতির ফলে নিষ্কণ্টক জমি নিয়ে দু’পক্ষের বিরোধ সৃষ্টি ও টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনা উপজেলার গাংনী পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন বাজারের। গাংনী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, ব্যবসায়ী আবুল হোসেন জানান, তার বাবা ও চাচার গাংনী মৌজার অন্তর্গত মোল্লাহাট তেরখাদা সংযোগ সড়কের সাথে একটি দাগে ২২ শতাংশ জমি রয়েছে। তার চাচা দীর্ঘদিন পূর্বে স্থানীয় জনৈকা মেহেরুন্নেসা এর নিকট তার অংশ বিক্রি করেন। উল্লেখ্য উক্ত ২২ শতাংশ জমি সড়ক বরাবর দৈর্ঘ্য ২৩৫ ফুট ও প্রস্থ মাত্র ৪৯ ফুট। যা নিরপেক্ষতার মাধ্যমে সমবন্টন করলে উভয় অংশের সড়কের মুখে ১১৭.৫ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৪৯ ফুট প্রস্থ হয়। তাহলে থাকেনা কোন বিবাদ, সৃষ্টি হয় না উত্তেজনা, বজায় থাকে শান্তি।

এ শান্তির পথ এড়িয়ে অনৈতিক ভাবে ২৩৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৪.৫ ফুট প্রস্থের দুটি পৃথক দাগ সৃষ্টি করে সেটেলমেন্ট অফিস। সম্পূর্ণ রাস্তাজুড়ে ২৩৫ ফুট দৈর্ঘ্যের এবং ২৪.৫ ফুট প্রস্থের দাগে মেহেরুন্নেছাকে রেকর্ড দেয়া হয়। অপরদিকে রাস্তা বিহীন একই দৈর্ঘ্য প্রস্থের সম্পূর্ণ পিছনের দাগে আবুল হোসেনদের রেকর্ড দেয়া হয় । যে জমির সড়কের সাথে সম্পর্ক নেই। বিষয়টি আবুল হোসেনরা যখন জানতে পারেন, তখন বিধি মোতাবেক সেটেলমেন্ট এ কোন আপত্তি বা মামলা করার সুযোগ ছিল না, ফলে আদালতে মামলা দায়ের করেন আবুল হোসেন।

এ মামলা চলমান অবস্থায় গত শুক্রবার সকালে সড়ক সংলগ্ন সকল জমি অর্থাৎ দুর্নীতির মাধ্যমে রেকর্ড সূত্রে জবর দখল ও পাকা দোকান ঘর নির্মাণ শুরু করে মেহেরুন্নেসা ও তার অনুসারীরা। এ সময় আবুল হোসেন বাধা দিতে গেলে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষের জন্য মুখোমুখি হয়। এমতাবস্থায় পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ বিষয়ে মেহেরুন্নেছা জানান, তিনি যেভাবে রেকর্ড পেয়েছেন সেভাবেই ভোগ করবেন। স্থানীয়রা জানায়, এ নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে।এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজ। মোল্লাহাট থানা অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাস জানান, দু’পক্ষের উত্তেজনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *