মুকসুদপুরের কাশালিয়া – গোয়ালগ্রাম রাস্তাটির বেহাল দশা যাতায়াতে চরম দূর্ভোগম,

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার কাশালিয়া নতুন বাজার হয়ে গোয়ালগ্রাম পর্যন্ত ইটের রাস্তাটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তার অধিকাংশ স্থানে ইট উঠে ছোট বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন মেরামত না হওয়ায় এই ইটের রাস্তাটি এখন দূর্ভোগের কারন হয়ে দাড়িয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে কয়েক গ্রামের ১০ হাজার মানুষ। গোয়ালগ্রাম, বেদগ্রাম, চকসিন, টোংরাইল নয়াকান্দি মানুষের কাশালিয়া জলিরপাড় হাট-বাজারে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এই রাস্তাটি। স্থানীয়দের দাবি রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না হওয়ায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।

কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তাটি অতিদ্রতই সংস্কারের এবং কার্পেটিং করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবসী। এলাকাবাসি বলেন, প্রায় ৮ বছর আগে এই রাস্তা নির্মিত হয়েছে। কয়েক বছর পর থেকে এই রাস্তার বেহাল দশা। তবে বিগত ৫ বছর যাবত এই রাস্তাটার খুব খারাপ অবস্থা। কিন্তু রাস্তার এমন বেহাল দশার প্রায় ৫ বছর পার হয়ে গেলেও কোন প্রকার সংস্করন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে এলাকাবাসি এবং পথচারীরা। স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়া করতে অনেক বেগ পোহাতে হচ্ছে। ওই গ্রামের মশি বিশ্বাস জানান, এই রাস্তাটি দিয়ে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন চালচল করেন।

সড়কটি দীর্ঘ বছর সংস্কার বা উন্নয়নের অভাবে ইট খুলে পড়েছে। ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারেনা। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। মানুষ পায়ে হেটে চলাচল করতে গিয়েও হোচট খেয়ে পড়েন। ক্ষেতে উৎপাদিত পন্য পরিবহন ও বাজারজাত করতে আমাদের কয়েক গ্রামের কৃষকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তাটি দ্রত সংস্কারের এবং কার্পেটিং করার দাবি করছি। ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুধাংশু বৈরাগী বলেন, কাশালিয়া নতুন বাজার হয়ে গোয়ালগ্রাম পর্যন্ত আমাদের এই রাস্তাটির বেহাল দশা দেখে আমাদের খুবই দুঃখ হয়। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে জরুরী ভাবে এ রাস্তাটির সংস্কারের দাবি জানাই। মুকসুদপুর উপজেলা প্রকৌশলী সজল কুমার দত্ত বলেন, ওই রাস্তায় ৭টি ব্রীজ নির্মান করা হবে। বর্তমানে ৫টির কাজ চলমান আছে, আরও ২টির কাজ করার প্রস্তুতি চলছে। ব্রীজের কাজ শেষ হলে ওই রাস্তাটির কাজ দ্রুত শুরু হবে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *