মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে গোবরা ইউনিয়নের একজন বয়োবৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার খোলাচিঠি কে

 বর্তমানে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে গোবরা ইউনিয়নের একজন বয়োবৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার খোলাচিঠি যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করেছেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সফিকুর রহমান চৌধুরী টুটুল।

তার পোস্ট থেকে নেওয়া চিঠিটি হুবুহু পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হয়েছে। মা হাসিনা আসসালামু আলাইকুম আমি মা তোমার নিজ ডিস্টিকির গোবরা ইউনিয়নের একজন বুড়ো মুক্তিযোদ্ধা।

আমার মোতো মুরুখ্খু মানসির লেহা তোমার চোহিও পড়বেনানে, দ্যাকফাওনানে।তা জানি। তবু মোন মানতিছেনা বইলে লেকতি বসলাম। মা, আমার বয়াস সত্তুরির উপরে।এই সোমায় তোমার দপ্তরেত্তে চিঠি আসলো আমি ভুয়ো না সঠিক তা’ বোলে বাছফে কারা কারা।

আমি তোমার দেয়া তিনশো টাহাত্তে ভাতা পাতিছি যা এহন পরায় বারো হাজারে দাড়াইছে। এর মদ্দি কতবার যাছাই বাছাই অলো।সব বাছাইতি পাশ করলাম। এহন বোলে আবার বাছাই অবে। আচ্ছা মা তুমি কও এই বুড়ো বয়াসে আমাগে কি এহন সবকিছু মোনে আছে? আমরাতো বেয়ানে কি দিয়ে ভাত খাইছি তাই ঠিকমোতো কথি পারিনে।

আবার স্বাক্ষী লাগবে তিনজন।ওয়া কোহানে পাবো কওদি? সবাই কি বাইচে আছে? আর কোহানে কেডা আছে তা কি জানি? শোনো মা, তোমারে ভালোজানি বুইলে এট্টা সত্যি কতা কই।যুদ্ধের পরে রাজাকাররা জানে বাচপার জন্যি আমাগে অনেক কমান্ডারের হাত পা ধইরে কান্দাকাটি হরছে, কাছের আত্মীয়রে সাথে নইয়্যে আইছে একখান মুক্তিযুদ্ধের সাট্টিভিকেট নেয়ার জন্যি।

ওগে কান্দনে আমাগে কমান্ডাররা সাট্টিভিকেট দেছেও।ওরাতো সে সোমায় জানতোনা তুমি এরোমভাবে এতো এতো সাহায্য হরবা। আমরা অশিক্ষিত মানুষ যুদ্ধ হরছি, দ্যাশ স্বাধীন অইছে সেই খুশিতিই বাচিনে।আমরা ওসব কাগজ দে কি হরবো।

তাই আর সেভাবে ওগুলো রাহিওনেই ঠিকমোতো।এ্যান্নেসেন দেকতিছি সেই কাগজের কি দাম। মারে, যাগে কাগজ নষ্ট, কথা আড়ায় যাতিছে, স্বাক্ষী খুইজে পাতিছে না ওরাই সঠিক মুক্তিযোদ্ধা।আর যাগে কাগজ ঝকঝকা, দশবারো জোন স্বাক্ষী কওয়ার আগেই হাজির অয় ওদের অনেকেই সত্যি মুক্তিযোদ্ধা না। ব্যাপারডা তোমারে ভাইবে দেকতি কলাম। আরেকটা কতা কই মা তুমিতো ম্যালা লেহাফড়া জানা একজন মানুষ। তোমার অনেক বুদ্ধি।

আমাগে বাড়ির ধারের কদম মোক্তার কলো আইনি নেকি আছে একজন নির্দোষ ব্যক্তির মুক্তির জন্যি যদি একশোজোন অপরাধীও ছাড়া পায় তাও ভালো কিন্তু কোন নির্দোষ ব্যক্তি যানি সাজা না পায়।সেরোম মোনে হরো ভুয়ো বাছতি যাইয়ে যদি একজন পোরকিতো মুক্তিযোদ্ধা ভূয়ো পোরমানিত অয় তালিপারা সেডা কিরাম অবেনে? ঐ মুক্তিযোদ্ধার মোনের অবস্থা চিন্তা হইরে দ্যাকছো? তা্র পরিবার, ছাওয়াল মাইয়ে তাগে কি অবেনে? মরার আগে আজীবনের মুক্তিযোদ্ধাডা ভুয়ো পোরমানিত অইয়ে কবরে গেলি তার দ্বায়িত্ব কেডা নেবেনে? ভাইবে দেহ।

তার চাইতে কইকি মা আমি বুড়ো মানুষ চিন্তা হইরে দেখলাম তোমারে যারা গোপন সোংবাদ কালেকশন হইরে দেয় তাগে মদ্দিত্তে ফরোজগার দেইহে এট্টা গোপন কমিটি বানাও। তোমার বিসিএস অফিসার বা পুলিশ, মেলেটারীগি যেরোম ভেরিফিকেশন অয় ওরোম গভীরভাবে ভেরিফাই হরো। আর রাজাকারগে এট্টা লিস্টি হরো।আমরা মরার আগে এডা এট্টু দেকতি পারলি জানডায় আছান অতো।মইরেও শান্তি পাতাম। আর কিছু ল্যাকফোনা।বার্মার অবস্থা আমাগে টিভিতি দ্যাকলাম। মোনডা ভালঠেকতিছেনা।তোমার নিগে চিন্তা হতিছে।সাবধানে থাইহো।তোমার চাইরদিকি শত্তুর। আল্লাহ তোমারে নেক হায়াত দারাজ হরুক। তুমি আমাগে শ্যাষ আশ্রয়ের জাগা।তোমার জন্যি আমরা মোন ভইরে আল্লাহর কাছে দোয়া হরি। আমীন। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *