মধুমতি নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ, ঢেউটিন ও চাল বিতরণ করলেন জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ১নং জালালাবাদ ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামের মোল্লাপাড়ায় বসবাসরত বেশ কিছু পরিবার সম্প্রতি মধুমতি নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে সহায় সম্বলহীন হয়ে পরে। নদী গর্ভে বিলীন হয়ে ভিটামাটি হারানো এমন ১৮টি পরিবারকে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবার প্রতি ৫,০০০/ (পাঁচ হাজার) টাকার চেক, ৩০ কেজি চাল ও ৩ বান্ডিল করে (২৭৪ পিচ) ঢেউটিন প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ১১টি পরিবারকে অতিরিক্ত আরো ৯,০০০/(নয় হাজার) টাকার চেক সহায়তা প্রদান করা হয়।
আজ সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর খোঁজ খবর নিতে সরেজমিনে ওই এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদা সুলতানা।
এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ করে তাদের খোঁজ খবর নেন এবং তাদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক, ঢেউটিন ও চাল বিতরণ করেন।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রাশেদুর রহমান, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মহসিন উদ্দিন, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফয়জুর রহমান, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো.আল ইয়াসা রহমান তাপাদার, উপ-সহকারী প্রকৌশলী বি.এম. ইছানুল কবীর, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিরুন্নাহার বেগম, ১নং জালালাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এফ এম মারুফ রেজা সহ জেলায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকনিক মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে সরকারি অনুদান ও মালামাল বিতরণ শেষে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে ভাঙন রোধে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন।
ভাঙ্গনের বিষয়ে গোপালগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফইজুর রহমানের
সাথে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকায় ইতোমধ্যেই বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলে নদী ভাঙন রোধ করার পাশাপাশি টেকসই উন্নয়নের জন্য কংক্রিট ব্লক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার স্থায়ী তীর সংরক্ষন করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।