মণিরামপুরে আলোচিত কৃষক নজরুল হত্যাকান্ড ডিবি পুলিশে হস্তান্তরের দেড় মাস পার হলেও উন্মোচিত হয়নি হত্যার মূল রহস্য
মণিরামপুরে আলোচিত কৃষক নজরুল ইসলাম হত্যা মামলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তরের দেড় মাস পার হলেও হত্যা রহস্য উন্মোচিত হয়নি। ইতোমধ্যে এ হত্যাকান্ড ৫ মাস অতিবাহিত হয়েছে। নিহত কৃষকের স্ত্রী পারুল খাতুনের আক্ষেপ গরীব বলেই স্বামী হত্যাকারিকে চিহ্নিত করা হচ্ছে না। এখনো স্বামীর মৃত্যু শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। জানাযায়, গত ৩১ মে উপজেলার তাজপুর গ্রামের মৃতঃ মেছের আলীর ছেলের মরদেহ স্থানীয় মাঠের মরিচ ক্ষেতের পাশে ড্রেন থেকে উদ্ধার হয়। ক্ষেত থেকে পানি নিষ্কাশনে আইল কাটা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে প্রতিপক্ষের হাতে নজরুল খুন হন বলে নিহতের স্বজনদের দাবি। এদিন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিহত নজরুলের ক্ষেত সংলগ্ন জমি মালিক একই গ্রামের সোবহান সরদারের ছেলে আব্দুল জব্বার, আমির আলীর ছেলে আসাদুল ইসলাম ও লুৎফর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসানকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরে তাদের আটক দেখানো হয়। পরদিন ১ জুন নিহতের স্ত্রী পারুল খাতুন আটক ৩ জনসহ ২/৩জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা করেন। যার মামলা নম্বর-জিআর ৯৩। ২ জুন আটক ৩ জনের বিরুদ্ধে ৫দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কিন্তু রিমান্ডে কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মেলেনি। যার তদন্তকারি কর্মকর্তা ছিলেন স্থানীয় ঝাঁপা ফাঁড়ি ইনচার্জ শাহাবুল ইসলাম। হত্যাকান্ডের সাড়ে তিন মাস পার হওয়ার পরও হত্যায় জড়িতদের চিহ্নিপূর্বক কুল কিনারা না হলে বাদি নিহতের স্ত্রী পারুল খাতুন মামলা পুলিশের অন্য সংস্থায় হস্তান্তরের আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৫ আগস্ট মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশ শাখায় হস্তান্তর হয়। যার তদন্তভার পান পুলিশের গোয়েন্দা শাখার এসআই নূর ইসলাম। কিন্তু গোয়েন্দা পুলিশে হস্তান্তরের দেড় মাস পার হলেও আজও হত্যাকান্ডে জড়িতদের চিহ্নিতসহ কোন কুল কিনারা হয়নি। নিহতের স্ত্রী পারুল খাতুন বলেন, বড় আশা নিয়ে মামলাটি ডিবি পুলিশে হস্তান্তরের আবেদন করেছিলোম। কিন্তু আজও স্বামীর হত্যাকারি চিহ্নিত হয়নি। মামলার বর্তমান তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই নূর ইসলাম (গোয়েন্দা শাখা) বলেন, এ হত্যাকান্ডে স্থানীয়রা মূখ খুলছে না। বিধায় রহস্য উদঘাটনে বিলম্ব হচ্ছে।