ভবদহ অঞ্চলের অসংখ্য মৎস্য ঘের ও পুকুর ভেসে গেছে, ঘের মালিকরা দিশেহারা

বন‍্যা কবলিত যশোরের ভবদহ অঞ্চলে অসংখ্য মৎস্য ঘের ও পুকুর ভেসে গেছে। ঘের মালিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অভয়নগর-মণিরামপুরের মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ভবদহ অঞ্চলে ছোট বড় অসংখ্য ঘের ও পুকুর ভেসেগেছে । অভয়নগরে প্রায় ৮শ’ ৮০টি মৎস্য ঘের এবং মণিরামপুরে ১ হাজার ঘেরের অধিকাংশ মৎস্য ঘের ভেসে গেছে। তবে এর কোন সঠিক তালিকা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অভয়নগরের সুন্দলী, ডহরমশিয়াহাটী, বেদভিটা, ডুমুরতলা এবং মণিরামপুর উপজেলার মশিয়াহাটী, হাটগাছা, লখাইডাঙ্গা, আলীপুর গ্রামের সব ঘের ভেসে গেছে।

ঘের মলিকরা নেট দিয়ে, বেড়া তৈরি করে ঘের রক্ষা করার চেষ্টা করছে। কোন কোন ঘের মালিক ডবল করে নেট দিচ্ছে। কিন্তু এতেও ঘেরে মাছ রাখা যাচ্ছে না বলে তারা জানায়। পানির গভীরতা বেশি হওয়ায় নেট-পাটায় কোন কাজ হচ্ছে না। দীর্ঘ দিন পানিতে নেট থাকায় নেট নষ্ট হয়ে মাছ চলে যাচ্ছে বাইরে। এ ব্যাপারে কথা হয় মশিয়াহাটী অঞ্চলের ঘের মলিক শংকর রায়ের সাথে। তিনি জানান, ‘আমার দুই শত বিঘের ঘের নেট-পাটা দিয়ে বেড়া দিয়েছি। কিন্ত এতে শেষ রক্ষা হয়নি। সব মাছ চলে গেছে।’ পোড়াডাঙ্গা অঞ্চলের ঘের মলিক সোমনাথ দত্ত জানায়, ‘আমার ৩টি ঘেরই ডুবে গেছে। এখন সরকার যদি আমাকে আর্থিক সাহায্য না করে তাহলে আগামী বছর আমার পক্ষে ঘের করা সম্ভব হবে না। আগামী বছর হারি না দিলে জমি মালিকরা তো জমি দেবেনা। আর জমি না দিলে ঘের করা সম্ভব নয়।’

এব্যাপারে মণিরামপুর উপজেলা সিনিয়র সৎস্য কর্মকর্তা রিপন কুমার ঘোষ বলেন, ‘ভবদহ অঞ্চলে ১ হাজার ঘেরের অধিকাংশ ঘের ভেসে গেছে। তবে এর কোন সঠিক হিসাব আমাদের কাছে নেই।’এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারুক হোসেইন সাগর বলেন, ‘উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে কোন তালিকা না চাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘেরের তালিকা তৈরি করা হয়নি। তবে ৪৪শ’ ঘেরের মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ ঘের ভেসে গেছে।’



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *