বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পুটিখালি ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ মোহসিন শেখের বিরুদ্ধে চুরির অপবাদ দিয়ে রসুল হাওলাদার নামের ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছে তার পরিবার।শনিবার দুপুর ২টার দিকে উত্তর পুটিখালি গ্রামের ওবায়দুলের ঘেরে গোসল করার সময় রসুলকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে ওই ইউপি সদস্য।পরে গুরুতর আহত অবস্থায় রসুলকে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে তার পরিবার। আহত রসুল হাওলাদার উত্তর পুটিখালী গ্রামের বাদশা হাওলাদারের ছেলে। পিতা-মাতা দুজনে খুলনায় বসবাস করার কারণে রসুল তার দাদা হোসেন হাওলাদারের বাড়িতে দাদী এবং ফুফুর কাছে থেকে স্হানীয় মাদ্রাসায় পড়ালেখা করতো। নির্যাতনের শিকার রসুল হাওলাদারের ফুফু রাহিলা বেগম বলেন, দুপুরে ফুটবল খেলা শেষে রসুল ও তার দুই বন্ধু স্হানীয় ওবায়দুলের ঘেরে গোসল করতে যায়।এবং খেলার ছলে পানি ছিটাছিটি করতে থাকার এক পর্যায়ে মাছ চুরি করেছে এমন সন্দেহে রসুলকে ধরে নিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে মোঃ মোহসিন মেম্বর।এসময় স্থানীয়দের বাধার মুখে মেম্বর রসুলকে ছেড়ে দেয়।পরে অসুস্থ্য অবস্থায় আমরা রসুলকে উদ্ধার করি। রসুলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়েছে।রসুলের হাত হয়তো ভেঙ্গে গেছে ।আমরা রসুলকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসছি। জানিনা কি হবে আমাদের ছেলের। আমরা অত্যাচারী এই মেম্বরের বিচার চাই।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের একটি বেডে চোখে মুখে আতংকের ছাপ নিয়ে শুয়ে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে।অনেক কষ্ট করে বলছিলো সেই বিভৎস সময়ের কথা এখনও মেম্বরের সেই নৃশংশতার কথা মনে করে আঁতকে উঠছে।সমস্ত গায়ে অসংখ্যা রক্তের জমাট বাঁধা কালো গোটা গোটা দাগ ।হাতে ব্যান্ডেজ দেওয়া।স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ কামাল হোসেন মুফতি জানান, গতকাল দুপুরের পরে আলআমিন হাওলাদার নামের এই শিশুটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে আসে তার স্বজনেরা, তার গায়ে অসংখ্যা আঘাতের গুরুতর চিন্হ রয়েছে এবং হাত আঘাতে ফ্রাক্সার হয়েছে যা আজকে ব্যান্ডেজ করা হবে। বিষয়টি জানার জন্য ইউপি সদস্য মোঃ মোহসীন শেখকে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনা শুনে ওই এলাকায় পুলিশ পাঠিয়েছি।তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।