বরিশাল জেলা কাউনিয়া থানাধীন ০৯ নং ওয়ার্ড ছোট রাজাপুর এলাকার ফকরুন নেছা ও মৃত কাঞ্চন হাওলাদার এর ছেলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহকারী মোঃ সোহরাব হাওলাদার (৩৬) গত ০৪ জুন শনিবার কাউনিয়া থানায় মোঃ কবির খান (৫০), পিতা-মোঃ নুরু খান, সাং-রামকাঠী,২। লিপি (৩০), স্বামী-মোঃ সোহরাব হাওলাদার, সাং-ছোট রাজাপুর ৩। মোঃ জসিম উদ্দিন (৫২), পিতা-সোবহান খান, সাং-পানবাড়িয়া, সর্ব থানা-কাউনিয়া, জেলা-বরিশালদের বিরেুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেন যে, তিনি বর্তমান বসবাসরত বাড়ি থেকে পুরাতন বাড়ীতে মাছ ধরার বেরচাঁই আনার জন্য যায়। ঘটনার দিন বেলা অানুমানিক দু,টার সময় বাদীর বাড়ীর পাশ থেকে একজন বাদীর ভাইকে ফোন করে জানান যে, বাদীর মেয়ে মোসাঃ তন্নি আক্তার (১৩) মারা গেছে। তখন বাদী পুরাতন বাড়ী থেকে সংবাদ পেয়ে দ্রুত বাড়ীতে আসে। এসে দেখে ঘরের বারান্দায় বাদীর মেয়ের লাশ শোয়ানো অবস্থায় আছে এবং মেয়ে মারা গেছে। বাদী তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলে তার স্ত্রী জানায় বাদীর মেয়ে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করিয়াছে। বাদী সহজ সরল মনে বিষয়টি মেনে নিয়ে পুলিশকে অবহিত করে। কাউনিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাদীর মেয়ের লাশ এর সুরতহাল করে। ময়না তদন্ত করার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় এবং কাউনিয়া থানার অপমৃত্য মামলা রুজু হয়। ময়না তদন্ত শেষে বাদীর মেয়ের লাশ নিয়ে তারা বাড়ীতে দাফন করে। বাদীর মেয়ের দাফন কার্য সমাপ্ত হওয়ার পর স্থানীয় লোকজনে মধ্যে গুঞ্জন শুনে যে, বাদীর পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা ০১নং আসামীর সাথে বাদীর স্ত্রী’র ০১ (এক) বছর যাবৎ পরকিয়া সর্ম্পক আছে। যেহেতু বাদী তার মেয়েকে ঝুলান্ত অবস্থায় দেখতে পায় নাই। সেহেতু বাদীর মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। বাদীর সন্দেহ থেকে বাদীর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বাদীর স্ত্রী বাদীর কাছে এক পর্যায়ে স্বীকার করে যে, ০১নং আসামীর সাথে তার অনুমান ০১ (এক) বছর পূর্ব থেকে প্রেমের সর্ম্পক এবং সর্ম্পকের সূত্র ধরে ০১নং আসামী বাদীর স্ত্রী ০২নং আসামীর সাথে বিভিন্ন সময় শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করে। যা ঘটনার দিন বাদীর মেয়ে মৃত মোসাঃ তন্নি আক্তার ০১নং ও ০২নং আসামীদ্বয়’কে শারীরিক সর্ম্পকরত অবস্থায় দেখে ফেলে এবং বাদীকে ০১নং ও ০২নং আসামীর সাথে শারীরিক সর্ম্পকের কথা বলে দেওয়ার কথা বললে ০১নং ও ০২নং আসামী বাদীর মেয়েকে ঘরের মেঝেতে ফেলে ওড়না গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যা কান্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য বাদীর মেয়ের লাশ ওড়না গলায় পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেগে ০১নং আসামী পালিয়ে যায়। ০২নং আসামী পরবর্তীতে চিৎকার ও কান্না কাটি করে মানুষ জড়ো করে এবং ওড়না কেটে লাশ নিচে নামিয়ে রাখে। ঘটনার পরে বাদী ০১নং আসামীকে ০৩নং আসামীর সাথে একত্রে নদী পাড় হয়ে বাদীর বাড়ীর এলাকা থেকে যেতে দেখে। ০১নং ও ০৩নং আসামী বর্তমানে এলাকায় নাই। ০৩নং আসামী ০১নং আসামীকে পালিয়ে যেতে এবং অত্র হত্যা কান্ডকে ধামা চাপা দিতে সরাসরি সহায়তা করে। অফিসার ইনচার্জ কাউনিয়া থানা বিএমপি জনাব এইচ. এম. আবদুর রহমান মুকুল পিপিএম-সেবা’র নেতৃত্বে মামলা তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হুমায়ুন সহ একটি চৌকস অভিযানিক টিম গত ০৪ জুন শনিবার রাত অনুমান ০২:৩০ টায় ০২নং অভিযুক্ত লিপি আক্তার (৩০), স্বামী-মোঃ সোহরাব হাওলাদার, সাং-ছোট রাজাপুর, থানা- কাউনিয়া, বরিশাল’কে কাউনিয়া থানাধীন ছোট রাজাপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন। ধৃত লিপি আক্তার এ ঘটনায় নিজেকে জড়িয়ে বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় জবানবন্দী প্রদান করে। ধৃত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে একইসাথে জড়িতদের গ্রেফতার অভিযান অব্যহত রয়েছে। এ-সংক্রান্ত দুপুর বারোটায় উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তর বিএমপি জনাব মোঃ জাকির হোসেন মজুমদার পিপিএম কাউনিয়া থানায় প্রেস ব্রিফ করেন।