ফকিরহাটে মোল্লা মেডিসিন কর্ণারের ব্যবসা বন্ধ ও জীবননাশের হুমকি লিখিত অভিযোগ দায়ের

ফকিরহাট বাজারের মোল্লা মেডিসিন কর্ণারে গত ৭ই মার্চ

শুক্রবার ঔষুধ ফেরত দেয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পযার্য়ে দোকানের কর্মচারী সবুজ বর্মনকে জোরপূর্বক পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান  বন্ধ করা সহ জীবননাশের হুমকি দেয়া হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানায়। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মোল্লা মেডিসিন কর্ণারের স্বত্বাধিকারী  মোল্লা তোহানুর রহমান অপু।

অভিযোগে উল্লেখিত ও স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী জানা যায়, উপজেলার আট্টাকী গ্রামের মৃত সাহেব আলীর পুত্র

 ফেরদৌস আলী বেশ কয়েকদিন পূর্বে মোল্লা মেডিসিন কর্ণার থেকে কিছু ঔষুধ ক্রয় করেছিলেন। ক্রয়কৃত ঔষুধ থেকে কয়েকটি ব্যবহার করা হয়েছে, বাকি ওষুধ গুলো মোল্লা মেডিসিন কর্ণারে ফেরত দিতে আসলে কর্মচারীরা ঔষুধ ফেরত নেয়ার মুহুর্তে ফেরদৌসকে বলেন, “ঔষুধের পাতার যে পাশে উৎপাদন তারিখ এবং এক্সপেয়ার তারিখ উল্লেখ থাকে সেই পাশ থেকে ওষুধ ব্যবহার করলে ফেরত নেয়ার পরে উক্ত ঔষুধ গুলো পুনরায় বিক্রয় করতে ঝামেলা হয়”এই কথার প্রতিনউত্তরে ফেরদৌস বলেন, “আমাকে ওষুধ ব্যবহার করা শেখাও? “এখান থেকেই ঘটনার সুত্রপাত।

উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পরে ফেরদৌস চলে গিয়ে কিছুক্ষণ পরে আট্টাকী গ্রামের শেখ জাফর আলীর (মেয়ে জামাই)   মোঃ আলামিনকে সাথে নিয়ে পুনরায়  মোল্লা মেডিসিন কর্ণারে এসে দোকানে থাকা বয়োঃজেষ্ট্য মুরুব্বির সাথে কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হয়, এক পর্যায়ে দোকানের অমুসলিম কর্মচারীদেরকে মালাউননের বাচ্চা বলে সম্মোধন করা হয়। সবুজ নামের একজন কর্মচারীকে ঘাড়ে ধরে দোকান থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে  রাস্তার অপর পাশের চায়ের দোকানে বসে থাকা ফেরদৌসের পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। এসবের পরেও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও তাদেরকে জীবননাশের হুমকি দেয়া হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

এবিষয়ে অভিযোগকারী মোল্লা মেডিসিন কর্ণারের পরিচালক অপুর সাথে কথা হলে তিনি জানান বিষয়টি স্থানীয়রা সমাধান করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়েছে। সমাধান না হওয়ায় আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

অভিযুক্ত ফেরদৌস আলীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সংযোগটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট এর ফকিরহাট শাখার সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান – বিষয়টি দুঃখজনক এখানে সমিতি রয়েছে যে কোন সমস্যা হলে আমাদেরকে জানালে অবশ্যই সমিতির মাধ্যমে  সুষ্ঠ সমাধান করার চেষ্টা করতাম। যেহেতু বিষয়টি ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে অবশ্যই  তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিবেন।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *