নড়াইলে লাইসেন্স না থাকলে ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়া হবে সিভিল সার্জন ডা. নাসিমা আকতার!!

সিভিল

নড়াইলে লাইসেন্স না থাকলে ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়া হবে সিভিল সার্জন ডা. নাসিমা আকতার।সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই অনিয়ম আর দূর্ণীতির মধ্য দিয়ে চলছে নাঈমা সার্জিক্যাল ক্লিনিক।কোন সার্জন তো নেই, নেই আবাসিক মেডিকেল অফিসার, নেই ডিপ্লোমাধারী নার্স, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ওয়ার্ডবয়। এমনই আজব প্রতারনার ফাঁদ পেতেছেন নড়াইল সদরের নাঈমা সার্জিক্যাল ক্লিনিকের মালিক রেজাউল করিম।সরকারী নিয়ম অনুযায়ী, উপজেলা পর্যায়ে একটি ক্লিনিকে ৯ টি বেড, ১ জন সার্জন, ১ জন আবাসিক মেডিকেল অফিসার, ১ জন ডিপ্লোমা সহ ৫ জন নার্স, প্রশিক্ষিত ওয়ার্ডবয় থাকার কথা থাকলেও কাজীর গরু কিতাবে আছে গোয়ালে নেই, এখানে নার্সের কাজ করেন আয়া এবং ঝাড়ুদাররা।

এমনি কায়দায় চলছে নাঈমা সার্জিক্যাল ক্লিনিক। সরেজমিন নাঈমা সার্জিক্যাল ক্লিনিকে ঘুরে কোন প্রশিক্ষিত নার্স পাওয়া গেল না, কয়েকজন আয়াকে নার্স সাজিয়ে রাখা হয়েছে। নোংরা অপরিকল্পিত ভাবে চলছে ক্লিনিকটি। সেবার নামে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। অপারেশন থিয়েটার, ওয়ার্ড, বেড সব কিছু অগোছালো। একটি রুমের মধ্যেই রয়েছে দশটি বেড । গত শনিবার ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিলো ১৫ জন। ভর্তি রোগীদের সাথে কথা বলে আরও জানাগেছে আবাসিক মেডিকেল অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন ক্লিনিক মালিক রেজাউল করিম, এবং সাধারন ডেলিভারীর কাজ করেন আয়া, ঝারুদাররা । আলট্রাসনো করেন বাইরে থেকে ,স্থায়ী থাকেনা কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।

নারী পুরুষ রোগী, রোগীর স্বজন একই ওয়ার্ডে রাত্রি যাপন করেন। অবৈধ গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগও রয়েছে ক্লিনিকটির বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, ক্লিনিক মালিক রেজাউল করিম আয়া,ঝাড়–দারদের দিয়ে অবৈধ গর্ভপাত করান এবং নিজেই তার তদারকি করেন একাজে প্রতিটি অবৈধ গর্ভপাতের ফি ৮/১০হাজার টাকা নেয়। অথচ ক্লিনিকে বিভিন্ন সার্জনের নাম ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। একজন রোগী এলে তাকে অপারেশন টেবিলে উঠিয়ে তারপর শুরু করে বিভিন্ন নাটক।এব্যাপারে ক্লিনিক মালিক রেজাউল করিম জানান, তার ক্লিনিকে ১০ টি বেড আছে, ৪/৫ জন ডাক্তার আছে কিন্তু‘ স্থায়ী ভাবে কেউ থাকেনা। আবাসিক মেডিকেল অফিসার কেউ নাই। ফোন করলে আবাসিক মেডিকেল অফিসার আসেন।

ডিপ্লোমাধারী কোন নার্স নাই। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ডা. নার্স ইত্যাদি অনিয়মের কথা বললে ক্লিনিক মালিক রেজাউল করিম বলেন, নড়াইলে এতনিয়ম কোন হাসপাতাল মানেনা। নড়াইলের স্বাস্থ্য সেবা গ্রহীতা ফোরামের আহবায়ক কাজী হাফিজুর রহমান বলেন, প্রায় ২০ বছর ধরে নড়াইলে অবৈধ ক্লিনিক ব্যবসা চলছে, সি এস সাহেবরা এসেই দুই মাসের মধ্যে সব ঠিক করে ফেলবেন বলেন, কিন্তু কোন কারণে, কিছুই ঠিক হয়না তার কারন বোঝা যায় না। নড়াইলের সিভিল সার্জন ডা. নাসিমা আকতার বলেন, লাইসেন্স না থাকলে সেই ক্লিনিক গুলো আমরা বন্ধ করে দেব। 



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

preload imagepreload image