কোটালীপাড়ায় কুশলা ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতায় গুরতর আহত ৯৬ নং কুশলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী রহিম চৌধুরী (৩৫) এখন মৃত্যু পথযাত্রি। গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সার্জরী ওয়ার্ডে তিনি এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। গত ৬ জানুয়ারী এব্যপারে ভুক্তভোগী রহিম চৌধুরীর মা রিজিয়া বেগম বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় ৮ জন ও অজ্ঞাত আরো ২৫-৩০জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার বিবরণে জানাযায়, গত ৫ জানুয়ারী কোটালীপাড়ার কুশলা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী হাবিবুল্লাহ সিকদার মোরগ প্রতীককে তার প্রতিদ্ব›িদ্ব মেম্বার প্রার্থী ফুটবল প্রতীকের ইমাম হাসানকে পরাজিত করে বিজয়ী হন। ফলাফল ঘোষনার পর কুশলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ওই দুই মেম্বার প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায় উত্তেজন চরম আকার ধারন করলে প্রিজাইডিং অফিসার পুলিশ ওবিজিবি সদস্যদের সাথে নিয়ে ভোটার বাক্স ও অন্যান্য নির্বাচনী উপকরণসহ কেন্দ্র ত্যাগ করেন। এসময় তিনি ওই স্কুলের দপ্তরী রহিম চৌধুরীকে তাদের সাথে নেন। কিছুদূর যেতেই তার কাছে খবর আসে যে নির্বাচন কেন্দ্রে একজন মেম্বার প্রার্থী ও গ্রাম পুলিশ সদস্য আটকা পড়েছেন। দ্রæত তাদের উদ্ধার করা প্রয়োজন।
এ খবর পেয়ে তিনি (প্রিজাইডিং অফিসার) স্কুল কেন্দ্রে আটকদের তালা খুলে বের করে অনার জন্য দপ্তরী রহিম চৌধুরী নির্দেশ দেন। সেঅনুযায়ি রহিম চৌধুরী সেখানে গেলে ওই ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার জাহিদ ও লোকজন তাকে বেধড়ক মারপিঠ করে এবং স্কুলের চাবি ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে কোটালীপাড়া উপজেরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কিন্তু সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরদিন ৬ জানুয়ারী তাকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনালের হাসপাতালে রেফার করা হয়।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ও,সি) জিল্লুর রহমান আসামীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন।