টুঙ্গিপাড়ায় স্বামীর অমানবিক নির্যাতনে ৪ সন্তানসহ স্ত্রীর মানবেতর জীবনযাপন
টুঙ্গিড়ায় এক গৃহবধূ মাকসুদা আক্তার (২৪) এর ওপর তাঁর স্বামী অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ ৪ সন্তান সহ টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা আজিম বাজারে খোলা আকাশের নিচে মানবতার জীবনযাপন করছে।
গত মঙ্গলবার নিজ ঘরে ওই গৃহবধূ নির্যাতনের শিকার হন। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো মামলা হয়নি।
স্থানীয় আওয়ামীলীগের সভাপতি দৈনিক শতবর্ষ কে জানান, পূর্বে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ওই গৃহবধূর যৌনাঙ্গ ও শরীর এর বিভিন্ন স্থানে মারাত্মকভাবে জখম হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ দৈনিক শতবর্ষকে
জানান,তার স্বামী একজন নেশাগ্রস্ত মানুষ। বিভিন্ন ধরনের নেশায় আসক্ত। এ বিষয়ে স্বামীর সঙ্গে তাঁর প্রায়ই বাগবিতণ্ডা হয় এবং পরক্ষনে তারপর করা হতো অমানবিক নির্যাতন। তিনি বলেন, আমি চার সন্তানের জননী। কিছুদিন আগে আমার চতুর্থ সন্তান গর্ভে থাকাকালীন আমার পর করা হয় এক অসহনীয় নির্যাতন। এ সময় তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেন আমার চতুর্থ সন্তান আমার পেটে থাকাকালীন আমার স্বামী তার সাথে জড়িত আরো কিছু অসাধু লোকের সাথে আমাকে অনৈতিক কার্যকলাপের জড়িত হতে বাধ্য করতে চায়। তখন আমি অস্মতি জানালে আমারস্বামীসহ ওই তিনজন লোক মিলে আমার গুপ্ত স্থানে হাত প্রবেশ করিয়ে আমার চতুর্থ সন্তান কে মেরে ফেলে। তখন আমার প্রচুর পরিমান রক্ত পাত হয় এবং আশপাশের লোকজন এসে রক্তাক্ত অবস্থায় আমাকে উদ্ধার করে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে আসে। এর আগে আমার স্বামী আমার প্রথম সন্তান কেও ১মাস ৮ দিন বয়সে হত্যা করে। তারপরে আমার মাথার চুল কেটে ফেলা হয়। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিচার বিবেচনা করে আমাকে বাড়িতে পৌঁছে দিলেও আমার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ি প্রত্যেকটি সদস্য আমাকে বাড়িতে স্থান দিতে অসম্মতি জানায়।
নির্যাতনের শিকার ঐ গৃহবধূ বর্তমানে ৪ সন্তানসহ খোলা আকাশের নিচে জীবন যাপন করছে।