টুঙ্গিপাড়ায় সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৫ দিনের তদন্ত শুরু হয়নি ২৪ দিনেও

তদন্ত কমিটি গঠনের ২৪ দিন অতিক্রান্ত হলেও তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেনি। ওই কমিটিকে ৫ কর্ম দিবসের মধ্য তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল মামুন। নেতাদের সুপারিশ থাকায় এখনো তদন্ত কাজ শুরু করা যায়নি বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির আহবায়ক টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান। তবে কোন নেতার সুপারিশে তদন্ত শুরু করা হয়নি, তা বলেন নি ওই কর্মকর্তা।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর “দৈনিক শতবর্ষ” পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন মহলে তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টি তদন্তে গত ২১ সেপ্টেম্বর টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটিকে পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানকে তদন্ত কমিটির আহবায়ক করা হয় । কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান ও যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম।

উল্লেখ্য,গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ত্রিপল্লী শেখ আবু নাসের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অস্তিত্বহীন এক শিক্ষিকাকে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ দেন প্রধান শিক্ষক মৃণাল কান্তি ঢালী । অস্তিত্বহীন ওই শিক্ষিকার নাম সুতৃষ্ণা বর। তিনি কখনোই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান নি। এমনকি কোনদিন বিদ্যালয়েও আসেননি। বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক কেউই তাকে চেনেন না। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ওই শিক্ষিকা এমপিও ভুক্ত হয়েছেন। নিয়মিত ওই শিক্ষিকার ব্যাংক একাউন্টে বেতনও আসছে। কিন্তু বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে সুতৃষ্ণা বরের পরিবর্তে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মৃণাল কান্তি ঢালীর স্ত্রীর ছবি ব্যবহৃত হচ্ছে।

এব্যাপারে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার শ্রীরাম কান্দি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন দুর্ণীতি দমন কমিশনে (দুদক) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর দৈনিক শতবর্ষ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এবিষয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের এমপিও ভুক্ত করণ নিয়ে ঢাকা থাকায় তদন্ত শুরু করা হয়নি। এছাড়া নেতাদের সুপারিশ থাকায় এখনো তদন্ত কাজ শুরু করতে পারিনি। তবে কোন নেতা সুপারিশ করেছেন তা তিনি জানান নি। আগামী সপ্তাহে তদন্ত কাজ শুরু করবেন বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন বলেন, এসএসসি পরীক্ষা ও শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। তাই তদন্ত কাজ একটু দেরিতে হচ্ছে। নেতাদের সুপারিশে তদন্ত কমিটি প্রভাবিত হওয়ার প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা চাই সত্য উদঘাটন হোক। তদন্ত কমিটি সঠিক প্রতিবেদন দেবেন বলে আশা করছি।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *