টুঙ্গিপাড়ায় মেম্বার পদপ্রার্থীর উপর জালিয়াতি ও তার সমর্থকের উপর ধর্ষণের অভিযোগ

 অদ্ভূত এক জাতির দেশ বাংলাদেশ। একদল মানুষ জীবন বিপন্ন করে দেশের বিপদে লড়াই করে। আরেক দল মানুষ গরীবের খাবার চুরি করে ধনবান হয়। তবে দ্বিতীয় দলের কিছু যায় আসে না মানুষ মরলে। কারণ তাদের ধারণা তারা বেঁচে থাকবে। আর ক্ষমতার দাপট নিয়ে থাকে এরা দুনিয়াতে। তাই এদের দরকার অনেক অর্থের, প্রভাব-প্রতিপত্তির। তাদের এ অর্থ উর্পাজন হয় সরকার আর গরীবের হক মেরে দিয়ে। বাংলাদেশের অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে।

 

কিন্তু পরিবর্তন আসেনি দুর্নীতিতে। সরকার আসে সরকার যায় কিন্তু দুর্নীতি এখানে এক স্থানে স্থবির হয়ে আছে। জনগণের সেবক হয়ে জনগণের মুখের অন্ন চুরি করা এক শ্রেণির মানুষের মজ্জাগত অভ্যাস। তাই করোনাভাইরাসের মতো মহামারি সংকটকালেও তারা নিজেদের লোভ সংবরণ করতে পারেনি। এমন গর্হিত অপরাধ করতে বাদ দেয়নি টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ২নং বর্নি ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ মনির সিকদার। অভিযোগ পাওয়ার পর সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগ এর সত্যতা পাওয়া গেছে। গরিব,রিক্সাচালক, দিনমজুর, এবং খেটে খাওয়া মানুষের সিমিত ত্রান তালিকায় ত্রান প্রাপ্ত ব্যাক্তিদের না দিয়ে, স্বজনপ্রীতি ও জালিয়াতির পথ ধরে নিজের আত্নীয় স্বজন দের দেওয়া হয়েছে এসব ত্রান। এমন কি বহিরাগত আত্নীয়দের নাম সহ পিতার নাম পরিবর্তন করে ও করা হয়েছে জালিয়াতি। অপর দিকে, ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী মোঃ মনির সিকদার এর সমর্থক (ভাগ্নে) নির্বাচনী ক্যানভাসে গিয়ে ঘটিয়েছে ধর্ষণের মত নিন্দনীয় অপরাধ।

 

ভুক্তভোগী ঐ মহিলা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) সাংবাদিকদের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন,মেম্বার পদপ্রার্থী মোঃ মনির সিকদার এর ভাগ্নে সাকিল ক্যানভাস এর সময় বাসায় এসে তার উপর প্রভাব বিস্তার করে তাকে ধর্ষণ করার ব্যাপক চেষ্টা চালায়। পরবর্তী বিষয় টি জানাজানি হলে মনির সিকদার ও তার দলিয় নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে নিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে বিষয় টি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। সচেতন মহল সহ সর্বস্তরের জনগণ তিব্র নিন্দা জানিয়ে তাদের এই অপরাধের বিচার চেয়েছেন।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *