চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার কাঁদিপুরে লিমন পরস্ত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় গৃহবধূর স্বামীর হাতে আটক।

সরেজমিনে গিয়ে জানাজায়,গত ২০ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোর ৪টার সময় দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের কাদিপুর পুল পাড়া গ্রামের সাইদুরের ছেলে লিমন(২০)একই পাড়ার টগর আলীর স্ত্রী জিনিয়া (১৯) এর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় গৃহবধূর স্বামী ধরে ফেলেন।
ভুক্তভোগী টগর আলী জানান,গত সোমবার ভোর ৪ টার দিকে পাশের বাড়ির সাইদুরের ছেলে লম্পট লিমন আমার স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় আমি ধরে ফেলি লম্পট লিমন আমার ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়, লম্পট লিমন পালিয়ে যাওয়ার সময় তার ব্যবহিত গামছা ও মোবাইল ফোন ফেলে যায়, আমি আমার গ্রামের লোকজনের সঙ্গে বিষয় টা খুলে বলি, গ্রামের মন্ডল মাতব্বারেরা বলেন,বিষয়টা কারও বলার দরকার নেই, আমরা সব ঠিক করে দেবো,
ভুক্তভোগী আরও বলেন, আমি গরিব মানুষ আমার টাকা পয়সা নাই, সেজন্য মন্ডল মাতব্বারেরা লম্পট লিমনের সাথে হাত মিলিয়ে বিচার না করে, গামছা মোবাইল ফেরত দিয়েছে, ও আমার স্ত্রীর তার বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে, আমি এই অন্যায়ের বিচার চাই, আমি লম্পট লিমনের বিচার চাই, আমার সোনার সংসার ভেঙ্গে শেষ করে দিয়েছে,মন্ডল মাতব্বারেরা আমার থানায় মামলা করতে দেয়নি, আমি তাদের কথা শুনে ছিলাম তারা কথা রাখেনি, আমি থানায় যাচ্ছি আজই লম্পট লিমনের নামে মামলা করবো।
এবিষয়ে কাদিপুর গাং পাড়ার সুজন বলেন, লম্পট লিমন এই নতুন নাই তার নামে অনেক অভিযোগ আছে, তার কারণে আমাদের কাদিপুরের মেয়ে ছেলেপিলে সব সময় আতঙ্কে থাকে,তাই আমার প্রশাসনের কাছে অনুরোধ এই লম্পট লিমন বড় ধরনের কোন কিছু ঘটনা ঘটানোর আগে তাকে আইনের আওতায় আনা হোক,যাতে সে এমন ধরনের কাজ না করে,আর কারো সোনার সংসার না ভাঙ্গে।
কাদিপুর গ্রামের ইউপি সদস্য শাহজামাল সাংবাদিকদের বলেন, এবিষয় আমি সব কিছু জানি কিন্তু এই কেস আমার আইনের বাইরে এই বিচার আমি করতে পারবো না, আমি কেন চেয়ারম্যান ও করতে পারবে না,ইতি মধ্যে আপনারা জানেন ধর্ষণের বিষয়ে সরকার কঠিন আইন পাশ করেছে, সেজন্য আমি বিচারে যাইনি।
কাদিপুর গ্রামবাসি আরও বলেন, দুই বছর আগে টগর আলীর শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয় হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর নওদা পাড়া গ্রামের জিয়ারুলের মেয়ে জিনিয়ার সাথে,টগর আলী গরীব হলেও তাদের সংসার ভাল ভাবেই চলছিলো কিন্তু এই লম্পট লিমন তাদের সোনার সংসার ভেঙ্গে চুরমার করে দিল।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *