গৌরীপুরে হলুদ,সবুজ তরমুজ চাষ করে লাভবান কৃষক।

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে হলুদ,সবুজ তরমুজ চাষ করে লাভবান হচ্ছে কৃষক। হলুদ আর সবুজ রঙের তরমুজ চাষ হচ্ছে একসঙ্গে।ক্ষেতের পরিত্যক্ত আইলে তরমুজ চাষ করে সাফল্য দেখিয়েছেন ১৪ জন সফল কৃষক। আর ২৩ জন কৃষক এই তরমুজের চাষ করেছেন পরিত্যক্ত জমিনে। ভিন্নরঙের এ তরমুজ দেখতে ক্ষেতে উৎসুক জনতার ভিড় লেগেই আছে। বাড়ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রচার-প্রচারণা। গৌরীপুরের অচিন্তপুর ইউনিয়নের খালিজুড়ি গ্রামের কৃষক চান মিয়া জানান, পুকুরের পাড়ে কয়েকটা বীজ পুঁতে রেখেছিলাম। সেখানে হলুদ রঙের তরমুজ হয়েছে। সমাজ উন্নয়ন কর্মী শিখা দেবনাথ জানান, আমরা কৃষকদের মাঝে নতুন প্রযুক্তি, তথ্য ও পণ্য তুলে দিচ্ছি। আমার অধীনে ১১জন কৃষক এই তরমুজ চাষ করেছে। বাজারে চাহিদাও ব্যাপক, দামও ভালো পাচ্ছেন তারা। এদিকে রামগোপালপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল হোসেন জানান, সাধারণ তরমুজের সঙ্গে অ্যাডরা বাংলাদেশের কর্মীরা হলুদ রঙের তরমুজের বীজ দিয়েছিল। সবুজ আর হলুদ এখন একসঙ্গে ঝুলছে, দেখতে খুব ভালো লাগছে। কৃষাণী কুলসুম আক্তার বলেন, সব সবুজের মাঝে যখন হলুদ রঙের তরমুজ তখন আমাদের ভুল ধারণা হয়েছিল যে সবুজ তরমুজে পোকার আক্রমণে হলুদ হয়ে গেছে। এখন তো দেখি, হলুদ আর হলুদ। ইয়ারপুর গ্রামের কৃষাণী সায়েদা আক্তার জানান, আমাকে বীজ দিয়েছিল। ফলন ভালো হয়েছে। এখন হলুদ তরমুজ দেখতে প্রতিদিনই মানুষ ভিড় করে তরমুজ ক্ষেতে। অ্যাডরার সমাজ উন্নয়নকর্মী সুমাইয়া আক্তার সুমি জানান, সাধারণ তরমুজের চেয়ে ১৫ গুণ বেশি মিষ্টি হলুদ বর্ণের তরমুজে। ফলে ক্রেতাদের কাছেও বেশ সমাদৃত। প্রথমবারের মতো চাষ হওয়ায় কৃষাণ-কৃষাণীদের মাঝেও ব্যাপক উৎফুল্ল দেখা গেছে। কমিউনিটি এম্পাওয়ারমেন্ট প্রজেক্ট (সিইপি) ফেইস-২ এর কৃষি সুপারভাইজার, এনামুল হক বলেন, বিদেশি জাতের হলুদ তরমুজটি বারোমাসই চাষ করা যায়। রং বদলালেও এই তরমুজের স্বাদ কিন্তু বদলায়নি বরং এ তরমুজ আরও মিষ্টি ও সুস্বাদু। তিনি আরও বলেন,পরীক্ষামূলকভাবে এ উপজেলার ৩৭ জন চাষি এ বছর তরমুজ চাষ করেছিল। ফলন ভালো হওয়ায় পরবর্তীতে এর চাষাবাদ আরও বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ম্যানেজার বাবুল সি গমেজ বলেন, আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রত্যেকটি অকৃষি ও কৃষি ভূমি সুষম ব্যবহার ও উন্নত ফসল উৎপাদনে কারিগরিসহ সার্বিক সহযোগিতা করে আসছি আগ্রহী কৃষকদেরকে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *