গৌরীপুর- শ্যামগঞ্জ সড়কের বেহালদশা !

ময়মনসিংহের গৌরীপুর-শ্যামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে বেহালদশা। ছোট- বড় গর্তসহ খানখন্দে যানবাহন চলাচলে মারাত্বক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সৃষ্ট গর্তে গ্যাস সিলিন্ডারবাহী ট্রাকের চাকা পড়ে যানবাহন চালক ও পথচারীরা দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। শুক্রবার ভোরে সড়কের মইলাকান্দা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সারাদিন ট্রাকের চাকা গর্ত থেকে উদ্ধার করতে চেষ্টার পর বিকালে তা সম্ভব হয়। জানা গেছে ট্রাকটি চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থেকে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে নেত্রকোনা যাচ্ছিল। এদিকে গৌরীপুর- শ্যামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের মইলাকান্দা এলাকায় কাদাপানিতে একাকার হয়ে যাওয়া সড়কের গর্তে গ্যাস সিলিন্ডার বাহী ট্রাকের চাকা আটকে পড়ে।

গাড়ির চালক ও হেলপার তাদের লোকজন নিয়ে চাকা উদ্ধারের চেষ্টা করেন । এদিকে ট্রাকের চাকা আটকে পড়ায় সড়কের একপাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেল,অটোরিকশা, ইজিবাইক রিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস সহ ছোট যানবাহন চলাচল করতে হয়। তবে সকাল থেকে সড়কের উভয় পাশে আটকা পড়েছিল তেলবাহি লড়ি,, ট্রাক, পিকআপ সহ বড় যানবাহনগুলো। এতে করে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।গ্যাস সিলিন্ডারবাহী ট্রাকের হেলপার মামুন বলেন ভোর পাঁচটায় ট্রাকের চাকা সড়কের গর্তে পড়ে। পিকআপ ভ্যানের চালক সুমন মিয়া বলেন ত্রিশাল থেকে গাড়িবোঝাই করে বাদাম নিয়ে শ্যামগঞ্জ যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে ট্রাকের চাকা আটকে পড়ায় সারাদিন ধরে গাড়ি নিয়ে বসে থাকতে হয়।

আটকে পড়া ট্রাক সড়ক থেকে না সরানো পর্যন্ত গাড়ি নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। গৌরীপুর-শ্যামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক ঘুৃরে দেখা গেছে সড়কের শ্যামগঞ্জ রেলক্রসিং, ইটখলা বাজার, ধানমহাল, ইটখলা বাজার মেসিডেঙ্গি, কাউরাট এলাকায় সড়কের পিচ উঠে খানাখন্দ সহ ছোট-বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের সৃষ্ট গর্তে বৃষ্টির পানি জমে ডোবায় পরিণত হয়েছে। এরমধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বাস, ট্রাক, ইজিবাইক, অটোরিকশা, হ্যান্ডট্রলি, পাওয়ার ট্রিলার সহ অন্যান্য যানবাহন।

সড়কের এই বেহালদশার কারণে প্রায়ই গাড়ির চাকা আটকে পড়া সহ দুর্ঘটনা ঘটছে। কাউরাট এলাকার মো. কাশেম বলেন মইলাকান্দা এলাকায় রাস্তার দু’ধারে পুকুরের সারি, পানি নিষ্কাশনের অভাব, সঠিক সংস্কারের অভাবে আঞ্চলিক সড়কটির শ্যামগঞ্জ থেকে কাউরাট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এমনিতেই বেহাল । এছাড়াও বালুবাহী, পাথরবাহী ভারী যান ও বাস চলাচলের কারণে সড়কটির গুরুত্ব অনেক । রাস্তাটি দুপাশে আরো বড় করার এলাকাবাসসী অনেক দিনের দাবি ।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *