গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ কর্তৃক বাল্যবিয়ে রেজিস্ট্রির মুলহোতা খুন মামলায় গ্রেফতার

গোবিন্দগঞ্জ থানা এলাকায় যত বাল্য বিয়ে রেজিষ্ট্রি করা হয় তার অধিকাংশ করে থাকেন কাজী আঃ খালেক পিতা মৃত মোঃ আলি সাং গোবিন্দপুর থানা গোবিন্দগঞ্জ জেলা গাইবান্ধা। এই কাজী গত ১৮ মার্চ ২০২০ খ্রিঃ তারিখে প্রিয়া নামের একটি নাবালিকা মেয়ের বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন। এরপর নাবালিকা মেয়েটি ২য় স্ত্রী হিসাবে স্বামী মমিন মিয়া(২৯) পিতা রহিম উদ্দিন সাং বোয়ালিয়া নয়াপাড়া থানা গোবিন্দগঞ্জ জেলা গাইবান্ধার সাথে ঘর সংসার করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পরলে স্বামী মমিন তাকে গোবিন্দগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে তথায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রিয়া গত ৭ জুলাই ২০২২ খ্রিঃ চিকিৎসকের দেয়া মৃত্যুর প্রমাণ পত্র অনুযায়ী ENCEPHALITIS/ SUSPECTED COVID-19 রোগে মারা যায়।

কিন্তু প্রিয়ার পরিবার দাবি করে প্রিয়াকে মেরে ফেলা হয়েছে। এরপ্রেক্ষিতে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ প্রিয়ার মৃত্যর প্রকৃতি কারন নির্ণয়ের জন্য পিএম করার জন্য মৃতদেহ মর্গে পাঠিয়ে দেয়। পিএম রিপোর্ট আসার আগেই প্রিয়ার মা আদালতে একটি হত্যা মামলার অভিযোগ দাখিল করলে আদালতের নির্দেশে থানা হত্যা মামলা রুজু করা হয় এবং মামলার তদন্তকারি অফিসার আসামি মমিন কে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন। আদালতে আসামি মমিন স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন যে খালেক কাজী জেনেশুনে তাদের বাল্য বিয়েটি রেজিস্ট্রি করে দেয়। উল্লেখ যে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত মধ্যে রাতে কাজী খালেক কে নিজ বাড়ি হতে গ্রেফতার করে অদ্য ১৪ সেপ্টেম্বর আদালতে প্রেরণ করা হয়। ইতিপূর্বেও বাল্যবিয়ে পড়ানোর অপরাধে কাজী আঃ খালেক মোবাইল কোর্টে জেল হয় এবং এছাড়াও কাজী খালেক সিআর মামলায় ও জেল যায়।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *