গোপালগঞ্জে শেখ সেলিম এমপি’র নিকট ঘোষগাতী সড়কটি পাকা করে দিতে জোর দাবি জানালেন গ্রামবাসী

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাইককান্দি ইউনিয়নের অন্যতম একটি গ্রাম ঘোষগাতী। ঘোষগাতী গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত সংস্কারের অভাবে আজ তা ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওই সড়ক ব্যবহারে প্রতিনিয়ত গ্রামবাসীদেরকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অসুস্থ কোন রোগীকে হাসপাতালে আনা-নেওয়ার অসুবিধা সহ সাধারণ পথচারীরা বেহাল অবস্থার ওই সড়ক দিয়ে হেঁটে যেতে রীতিমতো বিব্রতবোধ করেন। এরপরও অনেকটা নিরুপায় হয়ে কষ্ট সহ্য করে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটি ব্যবহার করতে হচ্ছে তাদের।

তাই ভুক্তভোগী গ্রামবাসী গোপালগঞ্জ-২ আসন থেকে বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ড. শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি মহোদয়ের নিকট ঘোষগাতী গ্রামের ব্যাপক আলোচিত এই সড়কটি দ্রুত মেরামত করে দেওয়ার আকুতি জানান। যদিও বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাজ তার ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট নির্মাণ সহ ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট সংস্কার করা। কিন্তু বিধিবাম, এই ইউনিয়নে অনেকেই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলেও কার্যত এই রাস্তাটি এমপি সাহেবের সুপারিশে ইট সলিং হলেও পরে আর তা যথাযথভাবে সংস্কার করা হয়নি। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে আজ এই সড়কটির বেহাল দশা হয়েছে।

এদিকে ৫ বছর পর যখন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সামনে আসে, তখন ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রচার প্রচারনায় ওই গ্রামে গিয়ে নির্বাচনে জয় যুক্ত হওয়ার পরে সড়কটি সংস্কার করে দেওয়ার মিথ্যা অঙ্গীকার প্রদান করেন। পরে নির্বাচনে জয়লাভ করার পর নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ওই গ্রামের দিকে আর ফিরেও তাকান না বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। ওই গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীদের সাথে কথা হলে তারা আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, ঘোষগাতি দাড়িয়া বাড়ি থেকে শেখ বাড়ি হয়ে চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের সড়কের সাথে এই সড়কটি সংযোগ স্থাপিত হলে আমাদের আর কোন চাওয়া পাওয়া নেই।

গোপালগঞ্জ-২ আসনের বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, গোপালগঞ্জের মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা ড.শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি মহোদয় না চাইতেই আমাদের গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন। ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের এই সড়কটি পাকা করে দিতে তিনি একটি কার্যকর ব্যবস্থা নিবেন এমনটাই আমরা গ্রামবাসী আপনাদের (গণমাধ্যমে) মাধ্যমে প্রত্যাশা করছি।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *