স্ত্রীর যৌনঙ্গে কুড়ালের বাট ঢুকিয়ে এবং স্তন ব্লেড দিয়ে কেটে হত্যা চেষ্টা গোপালগঞ্জে।

স্ত্রীর
রক্তস্নাত ও অশ্রুসিক্ত বাংলাদেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিচারের দীর্ঘসূত্রতা অভিযুক্ত আসামিদের সহজেই জামিন প্রাপ্তি ও ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলেছে।
আর এমন একটি গর্হিত ঘটনার সাক্ষী হলো গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়াবাসী গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নিজের স্ত্রী কে বিবস্ত্র করে মুখে কস্টটেপ পেচিয়ে ঘরের খুটির সঙ্গে বেধে যৌনঙ্গে কুড়ালের বাট ঢুকিয়ে এবং স্তন ব্লেড দিয়ে কেটে সেই লোমহর্ষক চিত্র নিজের মোবাইলে ভিডিও ধারন করেছে এক স্বামী রুপি পশু !
গত ৯ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া কলাবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া কলাবাড়ী গ্রামের সুভাষ বাড়ৈর ছেলে সঞ্জিত বাড়ৈ ( ৩০) উপজেলার মধ্যকান্দি গ্রামের যোগান্দ বাড়ৈর মেয়ে সীথি (১৫) এর সাথে ২ বছর আগে সামাজিকভাবে ভাবে বিয়ে হয় । জানা যায় সীথি সঞ্জিতের দ্বিতীয় স্ত্রী।
সঞ্জিত বাড়ৈ একটি ডয়াগানষ্টিক সেন্টারে কাজ করে এবং ঐ ডায়াগানষ্টিক সেন্টারে বসে এক মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে । এবং সেই অনৈতিক কাজের দৃশ্য নিজের মোবাইলে ধারন করে রাখে ।
ঘটনা ক্রমে গত ০৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতে সঞ্জিতের মোবাইলে স্ত্রী সীথি সেই দৃশ্য দেখে। ফলে স্বামীর সঙ্গে কথা বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। সঞ্জিত বাড়ৈ এক পর্যায় স্ত্রী কে বিবস্ত্র করে ঘরের খুটির সঙ্গে বেধে মুখে কস্টটেপ পেচিয়ে যৌন পথে চাইনিজ কুড়ালের বাট ঢুকিয়ে এবং স্তন ধারালো ব্লেড দিয়ে কেটে নিজের মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করে ।
সাথির পিতা সংবাদ পেয়ে ১০ফেব্রুয়ারী বুধবার সকালে ভাঙ্গার হাট নৌ-তদন্ত ফাড়িতে অভিযোগ করলে পুলিশ গিয়ে সীথিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে কোটালীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে কিন্তু সেখানে তার আবস্থা অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে হস্তান্তর করেন।
কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় । এদিকে অভিযুক্ত সঞ্জিতকে কোর্টে না পাঠিয়ে পুলিশ দুই পক্ষকে ফাড়িতে ডেকে মিট-মাট করতে বলে এবং স্ত্রীর নামে সঞ্জিতের পিতা সুভাষ তার পুত্রবধুর নামে বাড়ীর কিছু অংশ লিখে দেওয়ার আশ্বাস দেয় ।
এব্যপারে ভাঙ্গার হাট ফাড়ির এস আই শেখ মোস্তফা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এলাকার তুষার মেম্বর ও সনতোষ মেম্বর মিমাংশা করে দেওয়ার আস্বাস দিয়ে নিয়ে যায় এবং সঞ্জিতের মোবাইল ফোন তুষার মেম্বরের কাছে আছে ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *