গোপালগঞ্জ পৌর এলাকায় টিসিবির পণ্য কিনতে না পারায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশব্যাপী প্রায় এক কোটি অসচ্ছল পরিবারের নিকট প্রতিমাসে ভর্তুকি মূল্যে চাল, ডাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজ বিক্রি করে চলেছে। যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুবই প্রশংসনীয়। ন্যায্য মূল্যে টিসিবির পণ্য রাজধানী ঢাকা সহ অন্যান্য জেলায় বিক্রির কার্যক্রম শুরু হলেও গতকাল গোপালগঞ্জে অক্টোবর মাসের বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গোপালগঞ্জ পৌরসভার বিসিক শিল্পনগরীর দীপক স্টোরে প্রতিমাসের ন্যায় এ মাসের কার্যক্রম শুরু হয়।

এসময় ট্যাগ অফিসার নুহাশ রহমান মঈন, গোপালগঞ্জ বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির বারবার নির্বাচিত সভাপতি দাউদ আলী শেখ, ডিসি অফিসের বাণিজ্য শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কামরুজ্জামান, গোপালগঞ্জ বিসিক শিল্পনগরী ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও লতিফপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আকবর আলী মোল্যা সহ জেলায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল এবং বহুল কাঙ্ক্ষিত চিনি ও পেঁয়াজ কিনতে না পাড়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্রেতা সাধারণ। উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জে চিনি ও পেঁয়াজ ব্যতীত টিসিবির চাল, ডাল, তেল বিক্রি হচ্ছে। পারিবারিক কার্ডের মাধ্যমে একটি পরিবার একটি কার্ডের বিপরীতে ৫ কেজি চাল ১৫০ টাকা, ২ কেজি মসুরের ডাল ১৪০ টাকা এবং ২ লিটার সয়াবিন তেল ২০০ টাকায় সরকার অনুমোদিত টিসিবির ডিলারের নিকট থেকে ক্রয় করছেন। টিসিবির পণ্যের তালিকায় প্রায় ৫–৬ মাস যাবত চিনি সংযুক্ত না হওয়ায় গোপালগঞ্জের ক্রেতারা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং সরকার সহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট আগামীতে চিনি সংযুক্ত করার অনুরোধ জানান।

এদিকে বিসিক শিল্প নগরীর দীপক স্টোরে ভোর থেকেই টিসিবির পণ্য কিনতে আসা নারী-পুরুষ সহ হাজার হাজার ক্রেতারা ভিড় করেন। এর মধ্যে ১,৬১৪ জন সৌভাগ্যবান ক্রেতা তাদের কাঙ্ক্ষিত পণ্য কিনে হাসিমুখে বাড়ি ফিরলেও বাকিরা পণ্য কিনতে না পেরে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এবিষয়ে দীপক স্টোরের স্বত্বাধিকারী দীপক কুমার সাহার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, গোপালগঞ্জ পৌর সভায় আমি ছাড়াও আরো অনেক ডিলার রয়েছেন। কিন্তু ক্রেতারা সেখানে গিয়ে টিসিবির পণ্য কিনতে ব্যর্থ হয়ে সব আমার এখানে জড়ো হন। আমি টিসিবির পণ্য স্টক শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে বিক্রি করি। আমার নিকট টিসিবির মালামাল থাকলে কেউ খালি হাতে ফেরত যায় না। কিন্তু অন্য যারা ডিলার আছে তারা যদি সঠিকভাবে তাদের বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করে তাহলে এ সমস্যা হয় না। পৌরসভার সবাই আমার এখানে ভিড় করে। গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক স্যারের নিকট আকুল আবেদন, যে সকল ডিলার সঠিক নিয়মে টিসিবির পণ্য বিক্রি করেন না তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আর যারা যথাযথভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জল করছে। তাদেরকে পণ্য সরবরাহ বাড়িয়ে দেওয়া হোক যেন মনে কষ্ট নিয়ে আর কোন গরীব, অসচ্ছল ও খেটে খাওয়া মানুষ খালি হাতে ফেরত না যায়।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *