কয়েকটি বিষয়ে সচেতন হলেই চোর-ডাকাত থেকে রক্ষা পেতে পারে আপনার বাসস্থান

হিমেল খানঃ নিচের কয়েকটি বিষয়ে সচেতন হলেই চোর-ডাকাত থেকে রক্ষা পেতে পারে আপনার বাসস্থান।

► সচেতনতার অন্যতম ধাপ হিসেবে বাড়িতে ভালো মানের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসিয়ে নিতে পারেন। আজকাল মেমরি স্টোর করে রাখার জন্য মেমরি কার্ড পাওয়া যায়। সঙ্গে চালু রাখুন বাড়ির ইন্টারনেট। ফলে আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, বাড়ির ভিতরে কী ঘটছে, সে দিকে নজর রাখতে পারবেন ইন্টারনেট সুবিধাযুক্ত মোবাইলের মাধ্যমেই।

► লকারে রাখার পরেও বাড়িতে কিছু অতিরিক্ত হালকা অলঙ্কার ও নথি থেকেই যায়। সে ক্ষেত্রে সেফটি বক্সের শরণ নিতে পারেন। মেটালিক ভারী চেহারার এবং নম্বর লক করা সেফটি বক্স বাজারে পাওয়া যায়। সেফটি বক্সের মধ্যে সে সব রেখে বাড়ির কোনো গোপন জায়গায় রেখে দিন বক্সটি।

► নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হোন। দরজার লক হিসেবে আই কনট্যাক্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করুন। তাহলে দরজার তালা ভেঙে কারও প্রবেশ করা প্রায় অসম্ভব। অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কেউ ঘরে প্রবেশ করতে চাইলে সে ক্ষেত্রে তার দরজা ভাঙা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। তালা ভাঙার চেয়ে দরজা ভাঙা বেশি কষ্টসাধ্য এবং এতে শব্দও হবে অনেক বেশি।

► বাড়ির দরজা-জানলা নির্মাণের সময় মোটা ও ভারী কাঠ ব্যবহার করুন।

► আগুন লেগে গিয়ে দুর্ঘটনার শঙ্কা উড়িয়ে দেবেন না। তাই ঘরের অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করুন। বাড়ির আর্থিং ঠিক আছে কিনা যেমন দেখতে হবে, তেমনই শর্ট সার্কিট এড়াতেও করতে হবে জরুরি পদক্ষেপ। আজকাল খুব সামান্য শর্ট সার্কিটেই বাড়ির বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে, এমন সার্কিট আজকাল সহজেই মেলে বাজারে।

► গ্যাসের বার্নার, সিলিন্ডার এগুলো প্রতি দিন রান্না ঘর থেকে বেরনোর আগে দেখে যান। গ্যাস ও সিলিন্ডার ব্যবহারের ভুলে অনেক সময় অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

► মেইন সুইচ এমন জায়গায় করুন যেখানে সহজেই পৌঁছানো যায় ও নাগাল পাওয়া যায়। দরকারে মেন সুইচ বন্ধ করতে যেন দেরি না হয়।

► বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে প্রতি দরজায় একটু ভারী ও দামি তালা ব্যবহার করুন। দরজায় লাগান ইন্টারলক। ► রাজ্য প্রশাসনের মতে, বাড়ির কোনো কাজে কাউকে নিয়োগ করলে তার বিস্তারিত খোঁজখবর নিন এবং তার ছবি-জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি নিজের কাছে সংরক্ষণ করুন।

► কয়েক দিনের জন্য কোথাও বেড়াতে গেলে চেষ্টা করুন ঘর বন্ধ না রেখে কোনো আত্মীয় বা খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে রাখতে। একান্ত তা সম্ভব না হলে স্থানীয় নিরাপত্তাকর্মীদের সংস্থা থেকে কাউকে নিয়োগ করে যান ও স্থানীয় থানায় জানিয়ে যান।

বাংলাদেশ পুলিশ আপনাদের পাশে আছে সবসময়।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *