কোটালীপাড়ায় কৃষক লীগের সম্মেলনে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে হাতাহাতি, চেয়ার ছোড়াছুড়ি

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় কৃষক লীগের সম্মেলনে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জরুরী সভা ডেকে সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যার পূর্ব মূহুর্তে উপজেলার হিরণ ইউনিয়ন পরিষদ ভবন চত্ত্বরে হিরণ ইউনিয়ন কৃষক লীগের সম্মেলনে এ হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে।
দলীয় সুত্রে জানাগেছে, বিকেল ৪টায় হিরণ ইউনিয়ন কৃষক লীগের সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলন শুরুর কিছু সময় পরে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহম্মেদ ছোটন বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। বক্তব্যের মাঝখানে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের কাছে উপজেলা, কলেজ ও পৌর ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে সম্মেলন দেওয়ার দাবি জানান। তারই বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক মাইনুল ইসলাম রিমো। এ সময় দু’নেতার সমর্থকদের মাঝে হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। সম্মেলনে উপস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে উভয় গ্রুপ শান্ত হয়।
এ ঘটনার পরে সম্মেলন সংক্ষিপ্ত করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস হিরণ ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি হিসেবে মো: ইউনুচ শেখ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো: রফিকুল ইসলামের নাম ঘোষনা করেন।
হিরণ ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি সামচুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবির, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া দাড়িয়া, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান হাজরা, জেলা পরিষদ সদস্য মাজাহারুল আলম পান্নাসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহম্মেদ ছোটন বলেন, কোটালীপাড়া উপজেলা যুবলীগ, স্বেচ্চাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। আমি বক্তব্যে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের কাছে এই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙ্গে সম্মেলন দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম। আমার বক্তব্যের মাঝখানে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল ইসলাম রিমো বেআইনী ভাবে বাঁধা প্রদান করে। ও একটা বেয়াদব। আমি ওর বহিস্কার দাবি করছি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল ইসলাম রিমো বলেন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহম্মেদ ছোটন অসাংগঠনিক ভাবে বক্তব্য দিয়েছেন। বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি নেই। উপজেলা কমিটি ভাঙ্গার ক্ষমতা একমাত্র জেলা কমিটিই রাখে । চৌধুরী সেলিম আহম্মেদ ছোটন অসাংগঠনিক ভাবে বক্তব্য দেওয়ায় আমি তার প্রতিবাদ করেছি।
এ ব্যাপারে জানার জন্য উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের ০১৭১১০৫৬০২০ নম্বরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ছাত্রলীগ যে ঘটনা ঘটিয়েছে তাহা অনাকাঙ্খিত। এ ব্যাপারে আমরা জরুরী সভা ডেকে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *