ইন্দুরকানীতে রাজ্জাকের পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন


পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে রাজ্জাক ও তহমিনা দম্পতি জরাজীর্ণ ভাঙ্গা কুঁড়ে ঘরে শীত ও বৃষ্টিতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। উপজেলার সংলগ্ন পূর্ব পাশে মৃত আজাহার বেপারী ছেলে রাজ্জাক বেপারী (৪৫) স্ত্রী তহমিনার (৩৮) মাথা গুজার ঠাঁই নেই এই দম্পতির। খোঁজ রাখেনা কেউ। জীবন যাপনের জন্য মোটামুটি ভালো একটি আশ্রয়স্থলের প্রয়োজন, তাও নেই তাদের। অভাবে-অনটনে না খেয়ে থাকতে হয় । তাদের সন্তানদের লেখাপড়া করাতে পারছেন না এই দম্পতি। পিতার রেখে যাওয়া সামান্য একটু করো জমিতে বাঁশের খুটিঁ, উপরে ভাঙ্গা টিন ও পলিথিন দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন । বর্তমানে তাও নষ্ট হয়ে যাওযার কারণে বিগত শৈত্যপ্রবাহে তীব্র শীতে জড়াজীর্ন ঘরে ছোট-ছোট দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন। তাদের তিন সন্তান বড় মেয়েকে এলাকার মানুষের সহযোগিতা নিয়ে বিয়ে দেন এবং ছোট দুই সন্তান বাবা মায়ের সাথেই থাকে। রাজ্জাক বেপারী দিন মজুরের কাজ করে সংসার চালান কিন্তু শারিরিক অসুস্থ থাকার কারনে প্রতিদিন কাজ করতে পারছেন না । তাই অনেক সময় ছোট-ছোট সন্তানদের কে ভালো মন্দ কিছু খাওয়াতে পারেন না। স্ত্রী তহমিনার শরিরের এক অংশ প্যারালাইজড তাহার ডান হাত দিয়ে কাজ করতে পারেন না ।
স্ত্রী তহমিনা বলেন, বাচ্চা জন্ম দেওয়ার সময় আমার এই সমস্যা দেখা দেয় অভাবের কারনে তাই চিকিৎসাও করাতে পারছি না। আরো বলেন, আমার স্বামীর আয় দিয়েই সংসার চলে তার যেদিন আয় না হয় সেদিন না খেয়েও থাকতে হয় আমাদের।
রাজ্জাক বেপারী বলেন, আমি একজন অসহায় লোক। কোন ভাবে মানুষের সহযোগিতা নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। কেউ আমাদের খোজ খবর রাখেনা। টাকার অভাবে অসুস্থ স্ত্রী ও নিজের চিকিৎসা করাতে পারি না। ভাঙ্গা ঘরে শীতের সময় তীব্র শীত আর বর্ষাকালে পানিতে ভিজতে হয় আমাদের। সামনে বর্ষাকাল ছোট ছোট দুই সন্তান ও অসুস্থ স্ত্রী কে নিয়ে এই ভাঙ্গা ঘরে কিভাবে বসবাস করবো কিছুই বুজতে পারছি না। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য মোটামুটি ভালো একটি ঘর প্রয়োজন। আপনাদের মাধ্যমে সরকার থেকে যদি একটা ঘর পেতাম তাহলে বাকি জীবনটা একটু ভালো ভাবে কাটাতে পারতাম।
৪নং ইন্দুরকানী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদ করিম তালুকদার (ইমন) জানান, সরকারের দেওয়া ঘরের তালিকায় তাদের নাম অন্তর্ভূক্ত করে ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা করবো। এই অসহায় পরিবারটির পাশে থেকে তাদেরকে সহযোগীতা করার চেষ্টা করবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুৎফুন্নেসা খানম জানান, বর্তমানে ঘরে তালিকা নেওয়া হচ্ছে না। পরবর্তীতে যাদের জমি আছে ঘর নাই ঘর তোলার সমর্থন নেই তাদের সরকার ঘর দেওয়ার সুযোগ আসলে তাকে একটি ঘর দেওয়া চেষ্টা করব ।