সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন সাংবাদিক মিলন

ঢাকার লাগোয়া আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য ও আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক নির্বাচন কমিশনার এবং দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার আশুলিয়া প্রতিনিধি এ,এইচ মিলন ইন্তেকাল করেছেন-( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুতে আশুলিয়া প্রেসক্লাবসহ সাভার আশুলিয়া ও ধামরাই এ কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সাংবাদিক মিলনের মৃত্যুতে সাভার প্রেসক্লাবের সভাপতি নাজমুস সাকিব, আশুলিয়া প্রেসক্লাবের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অপু ওহাব, সাবেক সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন জয়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান নিপু, কাশিমপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আমজাদ হোসেন, আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মোঃ শাহ আলম, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম আশুলিয়া থানা কমিটির সভাপতি মোঃ ইয়াছিন পৃথক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে তার শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। সাংবাদিক এএইচ মিলন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তার দুটো কিডনিই ড্যামেজ হয়ে গেছে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণও আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। রক্ত দেয়া হলেও তা শরীরে থাকছে না। এছাড়া থাইরয়েডের সমস্যাও রয়েছে তার। পরিবার সূত্র জানায়, গত ছয় থেকে সাত মাস ধরে সাংবাদিক এএইচ মিলন শয্যাশায়ী। মাঝে মাঝে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিলেও কিছুদিন না যেতেই তার অবস্থা আবারো সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। তিনি বিছানা থেকে উঠে বসতে পারছিলেন না। তিনি সামান্য পরিমানে তরল খাবার গ্রহন করতেন।তিনি এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে বিছানাতেই সকল স্বাভাবিক ক্রিয়া সম্পাদন করতেন। নিয়মিত কিডনি ডায়ালাইসিস করতে হয়েছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার ২৪ নভেম্বর দুপুরের দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছিলো। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পর বিকেল ৪টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সাংবাদিক এএইচ মিলন পাক্ষিক সাভার বার্তা পত্রিকা দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরে তিনি দৈনিক ফুলকি ও দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় আশুলিয়া প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *