ঠাকুরগাঁও এর হরিপুরের অনার্স পড়ুয়া কলেজ ছাত্রী,বালিয়াডাঙ্গী প্রেমিকের বাড়িতে অস্বাভাবিক মৃত্যু ।


(ঠাকুরগাঁও জেলা) হরিপুর উপজেলা ৪ নং ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়ন এর চৌরঙ্গী রনহাট্টা গ্রামের মোঃ সাইফুল ইসলামের মেয়ে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিষয়ে অনার্স পড়ুয়া মোছাঃ মর্জিনা আক্তার মুন্নী। দীর্ঘদিন ধরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কিসমত পলাশবাড়ী (চিতাচুড়ি) গ্রামের মোঃ সায়েদ আলীর ছেলে মোঃ রাসেল এর প্রেমের সম্পর্ক। অনুসন্ধানে জানা যায় একাধিক বার মেয়ের বাড়িতে এসে রাত্রী যাপন করেছে।
আরো জানা যায়, সায়েদ আলীর ছেলে মোঃ রাসেল নারী লোভী, বহু মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্কে মেলামেশা করে । মোছাঃ মর্জিনা আকতার মুন্নী গত ১২-১১-২০২০ ইং তারিখে সকাল ১০ টায় পরিবারের কাউকে না জানিয়ে ছেলের বাড়িতে চলে যায়এবং রাসেল কে বিয়ের চাপ দেয়,একপর্যায়ে রাসেল গত কয়েক দিন আগেই বিয়ে করেছে বলে মর্জিনা আক্তার মুন্নী কে জানিয়ে দেয়।কিন্তু মর্জিনা আক্তার মুন্নী ঐ কথা শোনার পর পরেই উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়,একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে, রাসেল ও তার মা বাবা মিলে বালিয়াডাঙ্গী সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
মর্জিনা আক্তার মুন্নীর অবস্থা বেগতিক হলে, রংপুর মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য নিয়ে যায়, চিকিৎসারত অবস্থায় রাতেই মুন্নী মৃত্যু বরণ করে। সকালে মুন্নীর বাড়িতে মৃত্যুর খবর জানানো হলে, পরিবারের লোকজন রংপুর হাসপাতালে ছুটে গিয়ে মেয়ের নিথর দেহ দেখতে পায়। মর্জিনা আকতার মুন্নীর ভাই এই বিষয়টি সংবাদ কর্মীদের জানান। মেয়ের ভাই আরো বলেন, ছেলে আমাদের বাড়িতে এসে একাধিক বার রাত্রিযাপন করেছে। দীর্ঘ পাচঁ বছর ধরে আমার বোনের সাথে সম্পর্ক।
মেয়ের ভাই জানান, লাশ আসার পর আমরা মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে আইনের আশ্রয় নিবো। মুন্নীর বাবা লাশের কাছে থাকায়, মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বলেন আমার মেয়ে মারা গেছে। এখন কিছু বলতে পারছিনা বাসা গিয়ে বলবো। মর্জিনা আক্তার মুন্নীর মৃত্যুর বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে মুঠো ফোনে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টা এখনো অবগত নই।আপনার ফোনের মাধ্যমে জানলাম,অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঐ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুল ইসলাম কে মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, আমিও মর্জিনার মৃত্যুর খবর জেনেছি। বিস্তারিত জানি না।