অবশেষে করোনা নিয়ে হোমিওপ্যাথদের গবেষণার সুযোগ করে দিল ভারত সরকার

নিউজ ডেস্ক: হো‌মিও ডাই‌জেষ্ট

করোনা আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে হোমিওপ্যাথিসহ অন্যান্য বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থার ঔষধের কার্যকরিতা নিয়ে গবেষণার সুযোগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ভারত সরকার। গত ২১ শে এপ্রিল ভারতের আয়ুশ মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনটি জারি করে।

জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হেয়েছে, কোন চিকিৎসাপদ্ধতির পক্ষেই এখন পর্যন্ত কভিড-১৯ এর জন্য অনুমোদিত কোন চিকিৎসা নেই। ইতোমধ্যে আয়ুশ মন্ত্রণালয়ের নিকট এর সম্ভাব্য চিকিৎসার পক্ষে বেশ কিছু প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে।

কিন্তু Drugs & Cosmetics Rules ১৯৪৫ অনুযায়ী আয়ুর্বেদ, সিদ্ধা, ইউনানি ও হোমিওপ্যাথিক ঔষধগুলোর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বাস্তবায়ন করার জন্য নির্দিষ্ট কোন বিধান রক্ষিত হয়নি। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের এই মহামারী রোধকল্পে, গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য ক্লিনিক্যাল ডাটার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে- আয়ুশ মন্ত্রণালয় বর্তমানে DGGI, CDSCO এবং অন্যান্য গবেষণা এক্সপার্টদের সাথে আলোচনা করে একটি বিশেষ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে।

CDSCO এর সাথে আলোচনা ও পরামর্শের উপর ভিত্তি করে, স্টেট ইনডিপেন্ডেন্টের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে আয়ুশের পক্ষে আয়ুর্বেদ, সিদ্ধা, ইউনানি ও হোমিওপ্যাথিক পদ্ধতি – লক্ষণবিহীন বা লক্ষণযুক্ত কভিড-১৯ এর কেইসগুলোর চিকিৎসাপদ্ধতিসহ, প্রতিষেধক উপায়; কোয়ারেনটাইনের সময় প্রয়োগযোগ্য ঔষধ বা ব্যবস্থাপনা, জনস্বাস্থ্য গবেষণা, সার্ভে ও ল্যাব-বেইজড গবেষণা ইত্যাদি বিষয়গুলোতে, IMCC Act 1970, HCC Act 1973 ও NMC Act 2019 (পূর্বতন IMC Act 1956) এর অধীনস্থ সকল বৈজ্ঞানিক, গবেষক, ক্লিনিসিয়ানকে গবেষণার অনুমোদন দিয়ে অবগত করে।
গবেষণার জন্য বাধ্যতামূলক নিয়ম-কানুন উল্লেখ করে, ও গবেষণার অনুমোদন দান করে ভারত সরকারের জয়েন্ট সেক্রেটারি পি, এন. রঞ্জিত কুমার সাক্ষরিত বিশেষ প্রজ্ঞাপনটি ২১ শে এপ্রিল প্রকাশিত হয়।

উল্লেখ্য, করোনা মহামারী ছড়িয়ে পড়ার শুরু থেকেই এ বিষয়ে চিকিৎসা ও গবেষণার জন্য ভারতীয় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকগণ দাবি জানিয়ে আসছিল। সম্প্রতি পুনে শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত ১৮ নার্সের ওপর হোমিওপ্যাথি ঔষধ প্রয়োগে সফলতা আসায় হোমিও সমাজে বেশ সাড়া ফেলেছে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *