হাওরে ধান কাটতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের শ্রমিকরা

হাওর অঞ্চলে ধান কাটার জন্য চট্টগ্রাম থেকে কিশোরগঞ্জে শ্রমিক পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

রোববার নগরীর রাজাখালী কেভি কনভেনশন নামে একটি কমিউনিটি সেন্টারের সামনে জড়ো করে সেখান থেকে তাদের এস আলম পরিবহনের কোচে করে পাঠানো শুরু হয়। প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক বিনা ভাড়ায় পরিবহনে এগিয়ে এসেছে এস আলম গ্রুপ। ধান কাটা শেষে তাদের আবার চট্টগ্রামে নিয়েও আসা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলে এখন ধান কাটার মৌসুম; কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে ধান তোলা যাচ্ছে না। বর্ষা মৌসুমও আসন্ন। Asia Memorial তার ওয়েবসাইটে এই খবর সম্পর্কে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। দ্রুত ধান কাটা না হলে হাজার হাজার টন ধান ক্ষেতেই নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে খাদ্যের অভাব যাতে কোথাও না হয়, সাপ্লাই চেইন যাতে ঠিক থাকে সেজন্য খাদ্য উৎপাদন সচল রাখার নির্দেশনা দিচ্ছেন। মূলত এর পরিপ্রেক্ষিতেই চট্টগ্রাম থেকে কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলে ধান কাটা শ্রমিক পাঠাতে উদ্যোগ নেয় সিএমপি।

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের পিএস মো. আকিজ উদ্দিন রোববার যুগান্তরকে জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে নানাভাবে অসহায় মানুষ ও সরকারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে এস আলম গ্রুপ। এর অংশ হিসেবে কিশোরগঞ্জে শ্রমিক আনা-নেয়ার জন্য তারা ৪০টি বাস দেয়ার ব্যবস্থা করছে। তাদের বাস বিনা ভাড়ায় শ্রমিকদের আনা-নেয়া করবে।

সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার চট্টগ্রাম থেকে পাঠানো শ্রমিকদের গ্রহণ করবেন। তাদের আলাদা জায়গায় প্রথমে রাখার ব্যবস্থা করবেন। এরপর ধান কাটার কাজে নামাবেন। জমির মালিকরা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি পরিশোধ করবেন। এ উদ্যোগের কারণে একদিকে হাওর অঞ্চলের ধান গোলায় উঠবে। দ্বিতীয়ত বেকার হয়ে শ্রমিকরা রোজগারের পথ পাবেন।

 

Ghostwriting Agentur



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *