মোল্লাহাটে নাহিন ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সত্ত্বাধিকারীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ।
আরিফুল ইসলাম রিয়াজ, মোল্লাহাট, বাগেরহাট: |
মার্চ ৮, ২০২৫
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে নাহিন ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সত্ত্বাধিকারীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ করে ভুক্তভোগী আসলাম মিয়া জানান, দীর্ঘ ১২ বছর যাবত তার সহিত নাহিন আক্তারের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের জেরে নাহিন তার নিকট থেকে এনজিও করার কথা বলে অর্থ গ্রহণ করে। এর কিছুদিন পর যৌথ অংশীদারিত্বে ডায়াগনস্টিক সেন্টার করার কথা বলে ৩০ লক্ষ টাকা গ্রহন করে। এরপর তার নিজ নামে নাহিন ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু করে। এটা জানার পর নাহিনের কাছে অংশীদারিত্বের কথা জানতে চাইলে তার সহিত সম্পর্কের অবনতি হয়।
অংশীদার না নেয়ায় তার কাছে টাকা ফেরত চাইলে নাহিন গড়িমসি শুরু করে। একপর্যায়ে সামাজিক ভাবে একটি শালিস বৈঠকের মাধ্যমে একটি ১ লক্ষ ৮২ হাজার টাকার চেক ও বাকি টাকা ৩ মাসের মধ্যে পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দেয় নাহিন আক্তার। পরদিন নাহিনের দেয়া চেক দিয়ে ব্যাংকে টাকা তুলতে গিয়ে দেখি ব্যাংকে কোন টাকা নাই। মুঠোফোনে তাকে এটা জানালে নাহিন আমাকে হত্যার হুমকি দেয়।
এবিষয়ে মোল্লাহাট থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। এবং চেক দিয়ে আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নাহিন বলেন, আসলাম মিয়ার স্ত্রীর সহিত পারিবারিক সম্পর্ক ছিল, সেই সম্পর্কের জেরে তাদের অনেক দিনের ওঠাবসা। তবে আসলামের থেকে আমি কোন টাকা নেই নাই। আমি একজন মহিলা মেম্বার, আমার সরকারী চাকুরীজীবি স্বামী ও পিতার থেকে টাকা নিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টার করেছি। ৩০ লক্ষ টাকা গ্রহণের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি যদি তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকি কোন প্রমাণ থাকে তবে প্রমাণ দিলে টাকা দিয়ে দেব।
চেকের ব্যাপারে তিনি বলেন, তার একটি চেকের পাতা সেলটাস কম্পানিকে দেয়া হয়েছিল, বকেয়া পরিশোধের পর সেলটাস কম্পানি চেকটি ফেরত দেয়। ঐ চেকটি আসলাম চুরি করে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।