অনুমতি ব্যতীত স্কুলের গাছ বিক্রি করলেন প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি
নেছারাবাদ উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়নের ৮১নং গুয়ারেখা কালিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন লক্ষাধিক টাকার মেহগনি ও চম্বল গাছ বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি লাভলু সিকদার এবং প্রধান শিক্ষক সুজন মজুমদার এর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। তারা ইউএনও ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে না জানিয়ে গাছ বিক্রি করে দিয়েছেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: নাসির উদ্দীন খলিফা অভিযোগ পেয়ে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতির বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজন মজুমদার এবং সভাপতি লাভলু সিকদার নিয়ম না মেনে বিদ্যালয়ের বাউন্ডারির সাতটি মেহগনি এবং একটি চম্বল গাছ গোপনে বিক্রি করেন। যাহার আনুমানিক বাজার মূল্য তিন লক্ষাধিক টাকা। গাছ বিক্রির খবরটি ছড়িয়ে পড়লে তারা ওই আটটি গাছের ছয়টি অংশ রেখে বাকিটা সরিয়ে ফেলেন।
বিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী স্থানীয়রা এ বিষয়ে কিছু জানতে চাওয়ায় প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতি তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেন। প্রধান শিক্ষক সুজন মজুমদার বলেন, “বিদ্যালয়ের উন্নয়নমুলক কাজের জন্য একটু তড়িগড়ি করে সাতটি গাছ কাটা হয়েছে। গাছ কাটার পূর্বে শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছিল। তবে, গাছ কেটে বিদ্যালয়ের সামনেই রাখা হয়েছে; বিক্রি করা হয়নি। কাটা গাছের কিছু অংশ দেখা গেলেও বাকিটা কোথায় প্রশ্ন করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লেবারদের খরচের জন্য গাছের কিছু তাদের দেয়া হয়েছে”।
তবে, কত টাকায় ওই গাছ বিক্রি হয়েছে তা তিনি বলেননি। সভাপতি লাভলু সিকদার বলেন, “বিদ্যালয়ের গাইড ওয়ালের কাজ চলছে। গাইড ওয়াল দিতে গিয়ে গাছের কারনে কাজে বিগ্ন ঘটছিল। তাই রেজুলেশন করে শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়ে গাছগুলো কাটা হয়েছে। এখনো বিক্রি করা হয়নি”। কাটা গাছের সামন্য কিছু অংশ দেখা গেলেও গাছের বাকি অংশগুলো কোথায় পূনরায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, “লেবারদের আমরা কোন মজুরি দিতে পারিনি। তাই গাছের ডালপালা সহ গাছের কিছু অংশ মজুরি বাবদ তাদের দেয়া হয়েছে”।
সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফ হোসেন জানান, “আমি সরেজিমন প্রদর্শনে গিয়েছিলাম। ওই বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়াল করতে গাছ কাটা অতি প্রয়োজন ছিলনা। গাছ না কাটলেও চলতো। তিনি আরো বলেন সরেজমিনে কাটা গাছের সব অংশ পাওয়া যায়নি”। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: নাসির উদ্দীন খলিফা জানান, “বিদ্যালয়ের গাছ কাটার জন্য যেসব নিয়ম রয়েছে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি তা পালন করেননি। গাছ কাটার অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফ চৌধুরিকে পরিদর্শনে পাঠিয়েছিলাম। তার রিপোর্ট আমি হাতে পেয়েছি। এখন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে শোকজ দেয়ার ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।