গোপালগঞ্জের সদর হাসপাতালের আরএমও’র বিরুদ্ধে দূর্গাপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতির সংবাদ সম্মেলন

গোপালগঞ্জে আওয়ামীলীগ নেতাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে টাকার বিনিময়ে তার প্রতিপক্ষকে ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রদানের অভিযোগ উঠেছে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাউস আলী শেখ এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে এ সব অভিযোগ করেন। গোপালগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ১৩ অক্টোবর মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষ ওই গ্রামের কবির ফকির ও সাইফুল ফকির একটি মারামারির একটি কল্পকাহিনী করে তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে হয়রানি করে চলেছে। ওই ঘটনার পর সেই দিনই কবির ফকির ও সাইফুল ফকির অত্র হাসপাতালের কতিপয় অসাধু কর্মচারীদের যোগসাজসে নিজের মাথা ব্লেড দিয়ে কেটে হাসপাতালে ভর্তি হন।

এরপর হাসপাতালের ডাঃ ফারুক আহমেদকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে গোপালগঞ্জের আমলী আদালতে তিনি সহ ৯-জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ভিকটিমের এক্সরে, সিটিস্ক্যান সহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা- নীরিক্ষা না করেই ভুয়া এ মেডিকেল সনদ প্রদান করেন। এতে তিনি এবং তার এলাকার নিরীহ লোকজন একটি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট মামলায় আসামী হয়েছেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, এর আগেও আরএমও ডাঃ ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে সনদ বাণিজ্যের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট বাতিল সহ তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান। এসময় সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে উপস্হিত ছিলেন হুমায়ুন কবির টুলু, মফিজুর রহমান মিটু, সুজাউর রহমান, কাবুল শেখ সহ জেলায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ। এবিষয়ে অভিযুক্ত ডাঃ ফারুক আহমেদের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি রোগীকে যেভাবে পেয়েছি সেভাবেই মেডিকেল সার্টিফিকেট দিয়েছি।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *