ইত্তেফাক সাংবাদিককে হুমকি, অডিও ভাইরাল,থানায় জিডি

  পিরোজপুরের নাজিরপুরে ইত্তেফাক সাংবাদিক অনুপ কুমার সিকদারকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিলেন নাজিরপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক (ইংরেজী) মোঃ লাহেল মাহামুদ। হুমকির অডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে৷ ভাইরাল অডিওটি নাজিপুরে টক অফ দা টাউনে পরিনত হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ইত্তেফাক সংবাদদাতা অভিযুক্ত লাহেল মাহামুদের বিরুদ্ধে নাজিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১২অক্টোবর) সকাল ৯:২৬ ঘটিকায় ইত্তেফাক সাংবাদিক অনুপ কুমার সিকদারের ব্যবহৃত ফেসবুক আইডির ম্যাসেঞ্জারে লাহেল মাহামুদ নামের ওই শিক্ষক তার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডির ম্যাসেঞ্জার থেকে ফোন দেয় এবং সাংবাদিক ও সাংবাদিকের মা’কে তুলে অশ্রাব্য-কু-রুচিপূর্ণ ভাষায় গালাগাল এবং তার অবস্থান জানতে চেয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে লাইন কেটে দেয়।

অভিযুক্ত শিক্ষক লাহেল মাহামুদের বিরুদ্ধে নাজিরপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে ডায়রী সূত্রে জানা যায়। স্থানীয় ভাবে জানা যায়, লাহেল মাহামুদ নাজিরপুর উপজেলা বিএনপির নির্বাচিত সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরিশাল বিএম কলেজের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক নেতা ছিলেন। জানা গেছে লাহেল মাহামুদ সাংবাদিকদের নামে ফেসবুকে কটুক্তিমূলক স্ট্যাটাস দেয়। সেই স্ট্যাটাসের কমেন্টে অনুপ কুমার সিকদার সহ একাধিক ব্যক্তি “চাঁদাবাজী মামলায় লাহেল মাহামুদ গ্রেফতার” শিরোনামের একটি নিউজের লিংক এবং গ্রেফতার হওয়া ছবি ও মামলার কপি পোষ্ট করে প্রতিবাদ জানান।

এবিষয়ে ইত্তেফাক সাংবাদিক অনুপ কুমার সিকদার জানান, ৮ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রতিদিনে সিনিয়র সাংবাদিক এবং কলামিষ্ট প্রভাস আমিন, “বাংলাদেশে কি একজন এসিল্যান্ডই ঘুষ খায়” শিরোনামে তার লেখা একটি কলাম প্রকাশিত হয়। কলামটি নাজিরপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজী শিক্ষক লাহেল মাহামুদ তার ফেসবুক আইডির ক্যাপশনে নাজিরপুর উপজেলায় কর্মরত বহুল প্রচারিত দেশের সনামধন্য পত্রিকার সাংবাদিকদের নিয়ে একটি অসৌজন্যমূলক পোষ্ট দেয়।

ওই পোষ্টটি আমার নজরে পড়লে আমি পোষ্টের কমেন্টে লাহেল মাহামুদের পূর্বে নাজিরপুর থানার একাধিক মামলার কপি ও বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার চাঁদাবাজী নিউজের লিংক দিয়ে প্রতিবাদ জানালে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমি এবং আমার মাকে উদ্দেশ্য করে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমি কোথায় অবস্থান করছি জানতে চেয়ে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

আমি এবিষয়ে নাজিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করি। ডাইরী নং-৯৮১,তারিখ-১২-১০-২০২৩ ইং। এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক লাহেল মাহামুদের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিনিধির পরিচয় পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তুই-তাকারি করে অভিযোগের বিষয়ে কোন মন্তব্য না করে ফোনের সংযোগটি কেটে দেয়। এবিষয়ে নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবির জিডির সত্যতা স্বীকার করে জানান,তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *