বরিশালের বানারীপাড়ায় সরকারি পাইলট স্কুলের প্রধান সড়কের গেট বন্ধ থাকায় জনদুর্ভোগ।।

বানারীপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে বন্দরবাজার হয়ে নদীর পশ্চিম পাড়ে ৫ টি ইউনিয়নের এবং পৌরসভা ১ নং ওয়ার্ড থেকে চাখার ইউনিয়নে যাওয়ার প্রধান সড়ক হল হাইস্কুল মাঠের ভিতর থেকে রাস্তাটি।

এই সড়ক থেকে জনসাধারণ চলাফেরা করে দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে, সেই প্রধান সড়কটি স্কুল চলাকালীন থেকে শুরু করে বিভিন্ন খেলাধুলা সহ যেকোন অনুষ্ঠানে সড়ক ও জনপদের রাস্তাটি বন্ধ করে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। জনসাধারণের প্রশ্ন হল বাংলাদেশের অনেক সড়ক লাগোয়া স্কুল কলেজ আছে সেই সব রাস্তা বন্ধ করে তো স্কুল কলেজ চালু রাখে না, তাহলে এই রাস্তাটি কেন??। প্রধান সড়কটি বন্ধ করার ফলে সকল যানবাহন বাইপাস সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। বাইপাস সড়ক ডানে এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসার সামনেই বড়বড় খানাখন্দে পড়ে দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে জনগণের বামপাশ থেকে হাইস্কুল মাঠ সংলগ্ন যে রাস্তাটি আছে সেখানেও আরও বেশি খানাখন্দ ফলে ৫ ইউনিয়নের এবং পৌরসভার রোগী সহ জনগণের চলাফেরা চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।বানারীপাড়ায় সড়ক ও জনপদের রাস্তা বন্ধ রেখে স্কুলের কার্যক্রম খোলা রাখা ও বন্দর বাজারের মালামাল পণ্য খালাস করায় বাইপাস সড়ক দিয়ে চলাফেরায় চরম দুর্ভোগে জনসাধারণ

এ দিকে পৌরসভায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ভাঙাচোরা রাস্তাঘাটের টেন্ডার হয়েছে বৃষ্টিপাত বন্ধ হলেই কাজ শুরু হবে। বানারীপাড়া বন্দর বাজারের ময়দার মিল থেকে শুরু করে ২ নং ওয়ার্ড হয়ে ৬ নং ওয়ার্ডের হাইস্কুল মাঠ পর্যন্ত রাস্তাটি গতবছর নিম্নমানের কাজের জন্য দেড় দুই মাসের মধ্যেই রাস্তায় খানাখন্দ হয়ে যায়। প্রতিবছরই রাস্তার টেন্ডার দিতে হয় এই সব সড়কে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও, সহকারী কমিশনার ভূমি এর গাড়ি,বন্দর বাজারের প্রাণকেন্দ্র থানা হওয়ায় থানার বড় পিকাপ সহ অন্যান্য গাড়ি বাজারে প্রবেশ বিঘ্ন ঘটে।

ফলে যানজট লেগেই থাকে। এ বিষয়ে বানারীপাড়া সরকারি ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন (পাইলট) স্কুলের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ কান্ত হালদার বলেন এই সড়কটি আমাদের স্কুলের জায়গা দিয়ে গেছে স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ও শব্দ দূষণেরর কারনে এই সড়কটি স্কুল চলাকালীন সময়ে বন্ধ রাখা হয়। যাতে করে শিক্ষার্থীরা কোন সড়ক দুর্ঘটনায় না পড়ে। পরিবহণ শ্রমিকরা বলেন স্কুলের প্রধান সড়কটির গেট বন্ধ থাকায় আমাদের বাইপাস সড়কে চলাচলে দুর্বিষহ যন্ত্রণায় পড়তে হয়। রোগীদের নিয়ে চলাচালে চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।প্রায় সময়ই আমাদের গাড়ি নিয়ে খানাখন্দে পড়ে দুর্ঘটনা হয় এবং গাড়ি নষ্ট হয়।

৩০০ শত টাকা দিয়ে গাড়ি ভাড়া করে চালিয়ে প্রায় দিনই বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ভেঙ্গে গেলে গুনতে হয় জরিমানা। এই সব অব্যবস্থাপনার প্রতিকার চেয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা বলেন আমরা এই সব অনিয়মের সুব্যবস্থা চাই। কে করবে সমাধান?? যে যার ইয়া নফসি নিয়ে ব্যস্ত আছে। পরিশেষে আমরা জনগণ অবহেলিত।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *