মোল্লাহাটে আবারো ছাত্র-ছাত্রীর পালায়ন, অপহরণ মামলায় ছাত্রের মা আটক

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে ১/২ বার নয়, তৃতীয়বারের মতো দশম শ্রেণীর ছাত্র ও নবম শ্রেণীর ছাত্রী পালিয়ে আত্মগোপন করায় অপহরণ মামলা দায়ের পূর্বক ছেলের মাকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। উপজেলার চরকুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ওই ছাত্র-ছাত্রী (অপ্রাপ্ত বয়স্ক) গত ০৭/০৬/২০২৩ ইং তারিখে পালিয়ে আত্মগোপনে থাকায় ১৭/০৬/২৩ ইং রবিবার ওই ছেলে এবং তার মা ও বাবাসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনের নামে অপহরণ মামলা রুজু হয়। এ মামলার আসামি (ছেলের মা) শারমিন আক্তারকে তার বাড়ি থেকে আটক করেছে পুলিশ।

আটক শারমিন আক্তার বলেন, আমার ছেলে এবং ওই মেয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে আমাদের অজান্তে বেশ কিছু দিন আগে প্রথমবার পালিয়ে একদিন পর মোবাইলে যোগাযোগ করে। তখন ওই দুই জনকে বাড়িতে এনে মেয়েটাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিই। এর কিছুদিন পর ওই মেয়ে তার বোনের বাসায় ঢাকাতে বেড়াতে গিয়ে আমার ছেলেকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে যায় এবং দুজনে পালায়। তখন আমাদের নামে থানায় অভিযোগ দিলে আমরা খুঁজে ২১ দিন পর তাদের সন্ধান পাই। এরপর ওই মেয়েকে আবারো তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিই। গত ১১ দিন আগে আবার তারা পালিয়েছে।আগে দুই বার ফেরত দেয়ার কারণে হয়তো এখন পর্যন্ত ওই ছেলে মেয়ে আমাদের সাথে কোনো যোগাযোগ করে নাই।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরকুলিয়া গ্রামের অধিবাসী সাবেক ইউপি সদস্য ফরহাদ শেখের ছেলে মুসা শেখ ও হাড়িদাহ গ্রামের জনৈক ব্যাবসায়ীর মেয়ে একই প্রতিষ্ঠানে চরকুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ওই দুই শিক্ষার্থী প্রেমে জড়িয়ে পড়েন এবং কয়েক মাস পূর্বে ২দিন পালিয়ে থাকেন। এরপর ছেলের অভিভাবকরা ওই মেয়েকে তার মা-বাবার নিকট তুলে দেন। এর কিছুদিন পর আবার তারা পালায়ন করে। ওই সময় ছেলে ও তার মা-বাবার নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মেয়ের অভিভাবক। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ২১ দিন পর তাদের পেয়ে মেয়েকে তার পিতা-মাতার নিকট দেয়া হয়। এরপর আবার তারা পালায়ন করেছেন। এবার আর কেবল অভিযোগ নয়, গত ১১ দিনেও মেয়েকে না পাওয়ায় ওই ছেলে, তার মা, বাবা এবং অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মোল্লাহাট থানা অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাশ জানান, চরকুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯’ম শ্রেণীর ছাত্রী অপহরণ মামলা রুজু করা হয়েছে। উক্ত মামলার আসামি শারমিন আক্তারকে রবিবার সন্ধ্যায় আটক করে সোমবার বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার চেষ্টা সহ সকল আসামিদের গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *