গোপালগঞ্জে আদর্শ মানুষ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে অগ্রযাত্রা শুরু কর্ণ-কুসুম কলেজের

মাদারীপুর-গোপালগঞ্জ মহাসড়কের পাশ দিয়ে প্রবাহিত বিল-রুট ক্যানেলের কোল ঘেঁষে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ভেন্নাবাড়ি গ্রামে এক নান্দনিক পরিবেশে অবস্থিত ‘কর্ণ কুসুম মহাবিদ্যালয়’। এটি শুধু একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী বিপুল চন্দ্র বিশ্বাসের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রাণকেন্দ্র।
শুধু পুথিগত বিদ্যা নয়, শিক্ষার্থীকে নৈতিক ও প্রযুক্তিগত শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তোলার লক্ষে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা এবং মানবিক শাখায় ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে অত্র কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম। প্রতিষ্ঠাতা বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস এবং অধ্যক্ষ স্মৃতি কণা বাকচী’র ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় ইতোমধ্যে শিক্ষানুরাগীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে এবং কলেজটিতে ভর্তির সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে কলেজ কতৃপক্ষ।
কর্ণ-কুসুম মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ স্মৃতি কণা বাকচী’র তত্ত¡াবধায়নে একঝাক মেধাবী শিক্ষরকর হাত ধরে অগ্রযাত্রা শুরু করছে কলেজটি।
শিক্ষার্থী অভিবাবক শংকর দাস বলেন, এই বছর আমার দুই মেয়ে এসএসসি পাশ করছে। দুরে কোন কলেজে ভর্তি করবো এই নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। বাড়ির কলেজ হওয়ায় আমার দুই মেয়েকে এই কলেজে ভর্তি করছি। আমরা বিশ্বাস করি এই কলেজ থেকে ভালো রেজাল্ট নিয়ে আমার মেয়ে ভালো কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবে।
কর্ণ-কুসুম মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক নিতাই পোদ্দার বলেন, অধ্যক্ষ স্মৃতি কণা বাকচী’র তত্ত¡াবধায়নে আমরা আমাদের সবটুকু দিয়ে শিক্ষার্থীদের মেধাবী গড়ে তোলার প্রশ্রæতিবদ্ধ। এবছরই আমাদের কলেজের পাঠদান শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট জেলার শেষ্ঠত্ব আনবো বলে প্রকিজ্ঞাবদ্ধ আমরা।
কলেজটির গভনিং বোর্ডের সদস্য ইতিহাসবিদ সরকারী নজরুল কলেজের প্রভাষক আসিশ কুমার বাকচি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরকে স্বরন করে বলছি তার একটি বানী আমাদের হৃদয়ে গাথা। তিনি বলেছেন দরিদ্র জনপদের যারা শিক্ষার্থী আছেন তাদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। তারা যেন শিক্ষার সুযোগ সুবিধা বেশি পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আজকে এই অনলাইনে যুগে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারে না। আমরা কর্ণ-কুসুম মহাবিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সেই অনলাইন ফ্রি করে দিচ্ছি। এই কলেজে কোন শিক্ষার্থী কোন বেতন ভাতা দেওয়া লাগবে না।
তিনি আরও বলেন, চান্দার বিল এলাকার ছেলেমেয়েরা উচ্চশিক্ষা থেকে পিছিয়ে পরছে। তাদের কথা চিন্তা করে আমাদের গভর্নি বোর্ডের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস এই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। এই কলেজে আমারা প্রতি তিন মাস পরপর অভিবাবক সমাবেস করবো। প্রতিটি শিক্ষার্থীর তার শিক্ষার মান তাদের



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *