সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা ‘অ্যান্টিভেনম’ মিলছে না গোপালগঞ্জ জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুলোতে
সুকেশ মন্ডল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সারাদেশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু গোপালগঞ্জ একটি বহুল জনবসতিপূর্ণ জেলা এ জেলার ৫টি উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্স ( গোপালগঞ্জ সদর, কাশিয়ানী, মুকসুদপুর, টুঙ্গিপাড়া, কোটালিপাড়া) থাকলেও এর কোনটিতেই পাওয়া যায় না অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন।
যার ফলে প্রতিনিয়ত সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। পুরাতন কুসংস্কারপূর্ণ ওঝার ঝাড় ফুকের উপর নির্ভর করে জীবন হারাচ্ছে। বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে চিকিৎসা মৌলিক অধিকার হিসেবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে কিন্তু সেখানে সাপে কামড়ানো রোগীর জন্য অত্যাবশকীয় অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে না পাওয়ায় সাপে কাটা রোগীর জীবন হুমকির মুখে পড়ছে প্রতিনিয়ত। প্রতিষেধক আবিষ্কারের আগে বিষাক্ত সাপে কেটে মৃত্যুর প্রহর গোনা ছাড়া কিছুই করার ছিল না।
কিন্তু এখন সাপে কাটা রোগীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলেই দিতে পারেন অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন। কিন্তু গোপালগঞ্জ জেলার কোনো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ অ্যান্টিভেনম চিকিৎসা মিলছে না। ফলে প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছে সাপে কাটা রোগী। দেশের অন্য সমস্ত জেলার উপজেলা পর্যায়ে যেখানে Anti venom দেওয়া হচ্ছে সেখানে গোপালগঞ্জের কোনো উপজেলায় না দেওয়া অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং হতাশজনক ব্যাপার।এক্ষেত্রে স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসনে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে এবং যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ চিকিৎসকের দ্বারা প্রতিষেধক প্রয়োগ করতে হবে।