দুর্গাপুর ইউনিয়নের মহিলা সদস্য কাজল রানী বসুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ।।
গোপালগঞ্জ সদরের ১৫ নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য কাজল রাণী ও তার স্বামী গ্রাম পুলিশ ভীষ্ম দেব বসুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, কাজল রানী বসু ১৫ নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের দুস্থ,হতদরিদ্র দের কাছ থেকে বয়স্ক ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতা, শিশু ভাতা পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে অর্থ আদায় করেছেন।এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাউল ও অর্থ আত্মসাথের অভিযোগ রয়েছে।এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মিল্টন সরকার, পিতা নির্মল সরকার,উন্নতি বসু পিতা শ্যামল বসু,মৃণাল সরকার পিতা মৃত প্রেমানন্দ সরকার,রুপা বেগম জং টিটো মোল্লা, কমল বসু পিতা মৃত মনোহর বসু, রমেন সরকার পিতা মৃত নকুল সরকার,অরুণ বসু পিতা অমল বসু, প্রণয় মজুমদার পিতা মৃত হারান মজুমদার, লতিকা সরকার জং অশোক সরকার সর্ব সাং গোলাবারিয়া পুরাতন ৮ বর্তমান ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ভুক্তভোগী মিল্টন সরকার, রুপা বেগম রমেন সরকার,উৎপল সরকার,অরুণ বসু, সনেক বিশ্বাস বলেন, বিগত তিন বছর আগে থেকে আমার নামে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির কার্ড হয়েছে। কিন্তু আমি বিগত তিন বছর যাবত আমি কিছুই জানতাম না।
যখন অনলাইনে দেখতে পারি আমার বিগত তিন বছর আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির কার্ড রয়েছে,কিন্তু এযাবৎ কাল পর্যন্ত কোন কার্ড এবং চাউল পাইনি।অথচ আমি জানতে পারি আমার কার্ডের চাউল সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড সদস্য কাজল রানী বসু চাল উত্তোলন করে বিক্রি করে দিয়েছেন।উন্নতি বসু ও সমাপ্তি সরকার আরো অভিযোগ করে বলেন,আমাদের কাছ থেকে শিশু ভাতার কার্ডের জন্য পাঁচ হাজার টাকা করে নিয়েছে কাজল রানী বসু ও তার স্বামী গ্রাম পুলিশ ভীষ্মদেব বসু।ভুক্তভোগীরা কাজল রানী বসু ও গ্রাম পুলিশ ভীষ্মদেব বসুর তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মহিলা সদস্য কাজল রানী বসু ও গ্রাম পুলিশ ভীষ্ম দেব বসু বলেন, গ্রামে ভিলেজ পলিটিক্স আছে এজন্য অন্য পক্ষের লোকজন মিথ্যা মন গড়া বানোয়াট অভিযোগ করে আমার সম্মান হানির চেষ্টা করছে।