মুকসুদপুরে স্থানীয় ভূমিদস্যুদের হাত থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন এক বীরমুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর পরিবার
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের বামনিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত-ফজলুল হক মোল্লার ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন মোল্লার ক্রয়কৃত ৩৪ শতাংশ জমির প্রায় সবটুকু সম্পত্তি জোর দখল করেছে স্থানীয় ভূমিদস্যুরা। সরেজমিনে গেলে দেখাযায়, বীরমুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন মোল্লা গত ৩০ বৎসর পূর্বে ১৪০নং আইকদিয়া মৌজার এস.এ ৭৮৩, ডিপি ২১১৬নং খতিয়ানের এস.এ দাগ নং-২৪১৪, বি.আর.এস দাগ নং-৪৫৫৭, এর ৫৯ শতাংশ জমির মধ্য থেকে ৩৪ শতাংশ জমি একই গ্রামের তিন ভাই বাসুদেব মন্ডল, প্রেম চাঁদ মন্ডল ও মন্মথ মন্ডলের নিকট হতে ক্রয় সূত্রে রেজিস্ট্রি মালিকানা বুঝে নেন। এরপর তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ ওই জমিতে ওয়ালসেট ঘর নির্মাণ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে ভোগদখল করে আসছেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, স্থানীয় ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র -রামদা, সাবল, কুড়াল, লাঠি নিয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধার ওয়াল সেট ঘর ভেঙ্গে ফেলে। বীর মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন ও তার পরিবারের লোকজনকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে ভূমিদস্যুরা তার জায়গায় জোর করে ঘর নির্মান করতে আরম্ভ করে, পরে নিরুপায় হয়ে তিনি আইনের দ্বারস্থ হন। গোপালগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারিক আদালত নালিশি উক্ত ভূমির ওপর ১৪৪ ধারা জারি করেন এবং শান্তি- শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ কে। সন্ত্রাসীরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা (১৪৪ ধারা) অমান্য করে স্থানীয় মেম্বার সাইফুল শেখের যোগসাজশে ঘর নির্মানের কাজ করছে। জানাযায়, স্থানীয় মেম্বার সাইফুল শেখ সহ যারা বীর মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেনের বাড়িঘর ভাংচুর ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে তাদের নামে খুনের মামলা সহ একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, আমি ৩০ বৎসর যাবৎ ওই জায়গায় ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসতেছি। তিনি আরও বলেন, হঠাৎ একদল সন্ত্রাসী বাহিনী গত ১৩ আগস্ট সকাল আনুমানিক ৮টার সময় একই এলাকার আবুল হোসেন মৃধার ছেলে রেজাউল মৃধা, এমদাদুল মৃধা, ইবাদুল মৃধা, মাহাবুর মৃধা, তৈয়ব মৃধা, রবিউল মৃধা ও মৃত জিহাদ মৃধার ছেলে ওয়াদুদ মৃধা সহ আরো ৪/৫ জন রেজাউল মৃধার হুকুমে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে, আমার ওয়াল সেট ঘর ভেঙ্গে পাশে ফেলে দেয়। আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি গোপালগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। আদালত ওই জায়গার ওপর ১৪৪ জারি করে। সন্ত্রাসীরা আদালতের আদেশ অমান্য করে জোর করে এখন পর্যন্ত নির্মাণ কাজ করছে। এব্যাপারে মকসুদপুর থানার এএসআই হায়দার বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও সন্ত্রাসীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমিও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা দেশকে স্বাধীন করার লক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলাম। আজ স্বাধীনতা অর্জনের ৫১ বছর পর স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রি মহল সম্পূর্ন সোচ্চার হয়ে আমাদের ওপর একের পর এক হামলা নির্যাতন করছে। আমি এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।