গোপালগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ সিকদারকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

গত বুধবার (৩১ আগস্ট) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টায় পাঁচুড়িয়া সামছুল হক রোডের বায়তুল আমান জামে মসজিদ থেকে এশার নামাজ আদায় করে বাসায় ফেরার পথে এই সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুজ্জামান সিকদার।

এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুষ্কৃতিকারীরা এই হামলা করে। কিছু দিন পূর্ব থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুজ্জামান সিকদার ও বদরুল সরদারের সাথে জমিজমা নিয়ে কোন্দল চলছিলো। ব্যাপারটি স্থানীয় কাউন্সিলর ও এলাকার গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ এক পর্যায়ে সমাধান করে দিয়েছিল। নামাজ আদায় করে ফরিদুজ্জামান সহ একই এলাকার কয়েকজন মুরব্বী বাসায় ফেরার সময় মসজিদ থেকে কিছুদুর সামনে গেলে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা আতিয়ার রহমান সরদারের ছেলে ওসিকুর সরদার (৪৫) ও জিকরুল সরদার (২৫), বদরুল সরদারের ছেলে মাফুজ সরদার (২৩), পাচুড়িয়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকার কাওসার খাঁ’র ছেলে তুহিন খাঁ (২৬) সহ আরো ৪/৫ জন চাপাতি, রামদা, সেভেন গিয়ার ছুরি ও লাঠিসোটা নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীদের হাতে থাকা চাপাতি ও ছুরি দিয়ে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য তার মাথায়, বুকে, পিঠে ও পায়ে এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। সাথে থাকা মুসল্লিদের বাধাঁর মুখে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার নির্দেশ দেন। বর্তমানে তার অবস্থা খুবই আশংকাজনক।

এ বিষয়ে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, আমরা এশার নামাজ আদায় করে বাসায় ফেরার পথে আতিয়ার রহমান সরদারের ছেলে ওসিকুর সরদার চাপাতি হাতে নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসে এবং সকলকে হুকুম দেয় সালা মুক্তিযোদ্ধারে আজ মেরে ফেল। সঙ্গে সঙ্গে জিকরুল সরদার ও মাফুজ সরদার আমাকে ছুরি দিয়া আমার মাথায় পেটে ও পিঠে কোপাতে থাকে এক পর্যায়ে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। আমার সাথে থাকা মুসল্লিরা হামলাকারীদের সাধ্যমত বাধাঁ না দিলে ওরা আমাকে মেরে ফেলতো। আমি এই সকল সন্ত্রাসীদের অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের নিকট আবেদন করছি। ফরিদুজ্জামানের সাথে থাকা মুসল্লি আনোয়া হোসেন বলেন, সন্ত্রাসীরা তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য হামলা করেছে। আমরা যদি তার সাথে না থাকতাম তাহলে আজ তার লাশ পেতাম। কারন হামলাকারীদের হাতে থাকা চাপাতি ও সেভেন গেয়ার ছুরি দিয়ে তারা যেভাবে কোপাতে আরম্ভ করেছিলো আমরা না থাকলে আজ আমরা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হারাতাম। আমরা এ ঘটনায় দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জোর দাবি জানাচ্ছি।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *