কোটালীপাড়ায় খাবারের সঙ্গে চেতণা নাশক ঔষধ প্রয়োগে প্রবাসী পরিবারের অসুস্থ ৬
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় খাবারের সঙ্গে চেতনাণাশক ঔষধ প্রয়োগ করা খাবার খেয়ে একই পরিবারের ৬ জন অসুস্থ হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কাফুলাবাড়ি গ্রামে। অসুস্থদের প্রথমে স্হানীয় চিকিৎসক ও পরে উপজেলা স্বাস্হ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এঘটনায় পুর্ব কোটালীপাড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বনোজ কুমার মধু বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আজ রবিবার মালয়েশিয়া প্রবাসী অসুস্থ অজয় কুমার মধু বলেন বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে প্রতিদিনের মত আমার ছেলে নিলয় মধু (১২) ও ভাতিজা মানস মধু (১০) রান্নাঘর থেকে রাতের খাবার খেয়ে বসত ঘরে এসে সাথে সাথে ঘুমিয়ে যায়। তখন আমরা কিছু বুঝতে পারি নাই। এর পরে আমি অজয় কুমার মধু (৪৮) এবং আমার মা আলোমতি মধু (৭৫) ভাতিজা দিপ্ত মধু (১৮) ভাতিজি অনন্যা মধু (১৬) ভাত খেয়ে বসতঘরে আসতেই আমাকে ঘুড়াতে থাকে এবং ক্লান্ত অবস্হায় অচেতন হয়ে যাই এসময় আমার ভাই প্রধান শিক্ষক বনোজ কুমার মধু ও তার স্ত্রী আমাদেরকে প্রথমে স্থানীয় ভাবে ও পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান।
পুর্ব কোটালীপাড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বনোজ কুমার মধু বলেন বৃহস্পতিবার আমি আর আমার স্ত্রী একাদশী পালন করেছিলাম। এজন্য আমরা দুজন রাতের খাবার খাইনি,বাবা বয়স্ক মানুষ সে সন্ধ্যার আগেই খাবার খেয়েছেন। অন্যরা রাতে খাবার খেয়েছেন এর মধ্যে প্রথমে নিলয় ও মানস রান্নাঘর থেকে ভাত খেয়ে ঘরে এসে ঘুমিয়ে যায়, পরে যখন আমার মা,ভাই এবং ছেলে মেয়ে খাবার খেয়ে ঘরে আসছিলো তখনই তাদেরকে অসুস্থ লাগছিলো ঘুরে পরে যাচ্ছিলো। এ অবস্হা দেখে আমি আর আমার স্ত্রী পাশের বাড়ির লোকজনকে জানালে তারা এসে আমাদের সহযোগিতা করে।
অসুস্থদের প্রথমে স্হানীয় চিকিৎসক ও পরে উপজেলা স্বাস্হ কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন এর আগে ২০১৪ সালে আরেকবার খাবারের মধ্যে চেতনাণাশক মেডিসিন মেশানো হয়েছিল। তখনো জান মালের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, আর এখনো আবার সেই একেই রকম খাবারের মধ্যে চেতনাণাশক মেডিসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। কেবা কাহারা আমাদের সাথে কি উদ্দেশ্য এমন করছে কিছুই বুঝতে পারছিনা।
এঘটনায় আমি অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে কোটালীপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। জানাগেছে প্রধান শিক্ষক বনোজ কুমার মধুর ভাই অজয় কুমার মধু মালয়েশিয়া থেকে দুই মাস হয় বাড়িতে এসেছেন। স্হানীয়রা জানান খাবারের মধ্যে চেতনাণাশক মেডিসিন মিশিয়ে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে মালামাল চুরি করে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভাঙ্গারহাট নৌতদন্ত কেন্দ্রের আইসি ওমর সরিফ জানান সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে তদন্ত চলমান রয়েছে, বিষয়টি উদঘাটন করার চেস্টা চলছে।