কোটালীপাড়ায় জামিনে আসার পর বাদীর পক্ষের লোকজনের হামলায় আসামীর বাবা- মা আহত

 গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায জামিনে আসার পর বাদী পক্ষের লোকজনের হামলায় আসামীর বাবা কাদের শেখ (৪৫) ও মা মায়া বেগম (৩২) আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে কোটালীপাড়া স্বাস্হ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার লোহারংক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় মায়া বেগম বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামী করে বিজ্ঞ কোটালীপাড়া আমলী আদালত গোপালগঞ্জে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কোটালীপাড়া থানাকে নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন।

হাসপাতালে আহত মায়া বেগম সাংবাদিকদের বলেন আমার ছেলে সুমন শেখ মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে ঘাঘর বাজার থেকে বাড়ি আসার পথে লোহারংক বাজারে মিজান দাড়িয়ার দোকানের কাছে পৌছালে সাইফুল দাড়িয়া,মিজান দাড়িয়া,মাসুদ দাড়িয়া,মহিউদ্দিন দাড়িয়া,অহিদ দাড়িয়া,দাউদ দাড়িয়া,ইয়াছিন দাড়িয়া,,মন্টু শেখ,সজিব শেখ,জাফর শেখ সুজন শেখসহ ১০/১২ জন লোক তার গতিরোধ করে তাকে ঘিরে ফেলে সেখানে তাকে আটকাতে না পেরে বাড়িতে এসে হামলা চালিয়ে আমাদের বাড়ি ঘর ভাংচুর করে এসময় আমি এবং আমার স্বামী তাদের বাঁধা দিলে সাইফুল দাড়িয়া আমাকে লোহার দা দিয়ে মাথায় কোপ মারিয়া হত্যার চেস্টা করে এবং আমার স্বামী আমাকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে তাকে ও তারা মারপিট করে গুরতর আহত করে।

এর আগে লোহারংক গ্রামে ইউপি নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের সদস্যকে ভোট না দেওয়া নিয়ে এবং ৩ নং সাধারণ ওয়ার্ডের মেম্বর পদে মুছা বিশ্বাস ও জাকির দাড়িয়ার মধ্যে নির্বাচন পরবর্তি সহিংশতায় জাকির দাড়িয়ার সমর্থক জামাল শেখ নিহত হয়। ওই ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মুছা বিশ্বাসসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং উক্ত মামলায় আমার ছেলে সুমন শেখকে ১৪ নাম্বার আসামী করা হয়।

গত ২৪ এপ্রিল আমার ছেলে সুমন কারাগার থেকে জামিনে আসেন। এর পর তাকে হত্যা করার চেস্টায় ব্যার্থ হয়ে বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে আমাদেরকে কুপিয়ে হত্যার চেস্টা করে। আজ কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন এখন পর্যন্ত আদালতের কোন নির্দেশনা হাতে পাইনি পেলে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *