রাণীনগরে আগাছানাশক বিষ ছিটিয়ে তিন কৃষকের জমির ধান নষ্টের অভিযোগ

নওগাঁর রাণীনগরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তিন কৃষকের প্রায় তিন বিঘা জমিতে আগাছানাশক (বিষ) ছিটিয়ে জমির ধান নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। রাতের অন্ধকারে আগাছানাশক (বিষ) ছিটিয়ে এসব জমির ধান নষ্ট করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পারইল ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া মাঠে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত তিন কৃষক সুষ্ঠ বিচার চেয়ে শনিবার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামের গোনেশ চন্দ্রের প্রায় ৩৯ শতাংশ জমি বর্গা হিসাবে চাষ করে আসছেন পার্শ্ববর্তী বিল পালশা গ্রামের কৃষক বকুল সরদার। তিনি এ ইরি-বোরো মৌসুমে জমিতে জিরাশাইল ও কাটারিভোগ ধান চাষ করছিলেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বর্তমানে জমির ধান গামর হয়েছিলো। কিন্তু এরইমধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত বুধবার রাতের অন্ধকারে এলাকার জনৈক কয়েকজন ব্যক্তি তার জমিতে আগাছানাশক (বিষ) ছিটিয়ে জমির ধান নষ্ট করে দিয়েছে। এছাড়া বানিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ১৯ শতাংশ জমির ধান ও রমজান আলীর ২৬ শতাংশ জমির জিরাশাইল ও কাটারিভোগ ধান ওই রাতেই একইভাবে আগাছানাশক বিষ ছিটিয়ে ধানগুলো নষ্ট করে দিয়েছেন। তিন কৃষকের প্রায় তিন বিঘা জমির ধানগুলো নষ্ট হওয়ার ফলে তিন কৃষকের প্রায় লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বকুল সরদার, আব্দুল জলিল ও রমজান আলী জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে রাতের অন্ধকারে আমাদের জমিগুলোতে আগাছানাশক বিষ ছিটিয়ে দেওয়ার কারণে জমির ধান খড়ের মত লালটি হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চেয়ে ​স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর আমরা তিনজন লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এছাড়া থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত তিন কৃষক। অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে উপজেলার পারইল ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান জাহিদ বলেন, ঘটনাটি জানার সাথে সাথে ধানের জমিগুলোতে গিয়ে আমি দেখেছি, ঘটনা সত্য। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রাণীনগর থানার ওসি শাহিন আকন্দ বলেন, এ ঘটনায় কোন কৃষক আমাকে জানায়নি বা থানায় কোন অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *