সরুপকাঠিতে ছেলের অপরাধ ধামাচাপা দিতে পিতৃত্ব অস্বীকার বাবার।

পিতামাতার কাছে সন্তানই সবচেয়ে প্রিয়। নিজের জীবনের চেয়ে সন্তানকে বেশী ভালবাসার মানসিকতা শুধু বর্তমানেই নয় সৃস্টির শুরু থেকেই ছিলো দৃস্টান্ত।
কিন্তু স্বরুপকাঠীর উত্তর করফা গ্রামের ব্যাবসায়ী আজিজুল হক-(৫৫)এর ব্যাপারে দেখা দিয়েছে ভিন্নতা।
 নিজের ঔরসজাত বখাটে সন্তান মোস্তাক(১৭) এর অপরাধ ও স্হানীয় ইউপি সদস্য মিলন সরদারের অদক্ষতাকে ধামাচাপা দিতে নিজের পিতৃত্বকেই অস্বীকার করলেন আজিজুল হক। স্হানীয় সূত্রে জানা যায় বাবা আজিজুলের টাকার গরমে ছেলে  মোস্তাক এলাকায় এাসের রাজ্য কায়েমের পাশাপাশি নারীলোভী হয়ে উঠেছে।
ভুক্তোভোগী  উত্তরকরফা গ্রামের মেয়ে ও আলকীরহাট আর মাবি:এর ১০ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী টিনা (ছদ্মনাম) মিডিয়া কর্মীদের বলেন গত সোমবার আমি আমার মায়ের সাথে ওয়াজ শুনতে যাই।বখাটে মোস্তাক আমার বান্ধবীর মাধ্যমে আমাকে কাছেই একটি ফাকা ঘরের পিছনে রান্না ঘরের ভিতরে নিয়ে শ্লীতাহানীর চেস্টা করে। তাৎক্ষনিত মিলন মেম্বর অনেক লোকজন নিয়ে ঘটনাস্হলে উপস্হিত হয়।  মোস্তাককে দুটি চড় দিয়ে চলে যেতে বলে আমাকে চড় থাপ্পড় মেড়ে মিছিলের মতন করে আমার বাড়ীর উঠানে এসে আমাকে ফেলে রেখে চলে যায়।
তার পর থেকে আমি লোক লজ্জায় স্কুলে যাওয়া এবং বাড়ী থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।এ ঘটনা নিয়ে মিলন মেম্বর মুঠো ফোনে বলেন ঘটনা সত্য। আপনারা তাদের মাবাবা আছে তাদের কাছে জানেন।মা বাবা থাকতে আপনি ফয়সালা কেন দিলেন,প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন।এ ব্যাপারে আজিজুল সাহেবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ঐ মোস্তাক আমার ছেলে না।আমার স্ত্রী কার সাথে কি করে ঐ ছেলে জন্ম দিয়েছে আমি নিজেই বিষয়টি নিয়ে সব সময় চিন্তত। তবে আজিজুল এবং মিলন মেম্বরের বক্তব্য  নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *